পাবনা, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও মানিকগঞ্জে বন্যা ও নদীভাঙনের কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি কমাতে এক হাজার ৮০৩ কোটি টাকার একটিসহ মোট ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ার শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এক সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ সভায় যোগ দেন এবং মন্ত্রী ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষ থেকে যোগ দেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, ‘আজকের সভায় পাঁচটি সংশোধিতসহ মোট ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এসব প্রকল্পের মোট আনুমানিক ব্যয় চার হাজার ৬২১ দশমিক ৩৪ কোটি টাকা। এসব খরচের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে তিন হাজার ৫৫ দশমিক ২১ কোটি টাকা ও বাকি এক হাজার ৫৬৬ দশমিক ১৩ কোটি টাকা আসবে বিদেশি উৎস থেকে।’
আরও পড়ুন: চসিকের উন্নয়নে একনেকে ২৪৯০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
এক হাজার ৮০৩ দশমিক ০৬ কোটি টাকার বন্যা ও নদীভাঙন ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিনিয়োগ কর্মসূচি (প্রকল্প-২) সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প তথ্যপত্র অনুযায়ী, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে ঋণ হিসেবে এক হাজার ৩২৯ দশমিক ৭৭ কোটি টাকা এবং নেদারল্যান্ডস সরকারের প্রকল্প সহায়তা হিসেবে ১৫১ দশমিক ৫৬ কোটি টাকা আসবে। এছাড়া বাকি অর্থ আসবে সরকারি তহবিল থেকে।
পাবনা, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও মানিকগঞ্জ জেলার বেড়া, শাহজাদপুর, বেলকুচি, চৌহালী, টাঙ্গাইল সদর, নাগরপুর, দৌলতপুর, হরিরামপুর ও শিবালয় উপজেলায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে যমুনা ও পদ্মা নদীর আশপাশে বসবাসকারী মানুষজনের জীবন-জীবিকার উন্নয়ন; কাঠামোগত পরিবর্তনের মাধ্যমে বন্যা ও নদী তীর ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন; প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নদীভাঙন হ্রাস করা।
প্রকল্পের প্রধান কাজের মধ্যে রয়েছে ৩০ কিলোমিটার নদী তীর সুরক্ষা, সাত দশমিক ৯ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ, ৪০ কিলোমিটার অভিযোজন কাজ, ছয় কিলোমিটার জরুরি কাজ ও তিন কিলোমিটার বাঁধ ব্যবস্থাপনা।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল অর্থনীতি গড়তে একনেকে ২৫৪২ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন