প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় ১৪-২১ এপ্রিল পর্যন্ত নতুন এই কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে সোমবার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, নতুন এই লকডাউনে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি অফিস ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ থাকবে কিন্তু কর্মকর্তা কর্মচারীদের যার যার কর্মস্থলেই থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: চলমান লকডাউন ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত: কাদের
সব ধরনের গণপরিবহন (সড়ক, নৌ, রেল ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে।
তবে, জরুরী পরিষেবা, পণ্য বহন, উত্পাদনের ক্ষেত্র এই বিধি-নিষেধের আওতার বাইরে থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্ত সাপেক্ষে সকল শিল্প-কারখানা খোলা থাকবে।
এছাড়া, শপিংমল ও দোকানপাট বন্ধ থাকবে। রেস্তোরাঁ ও হোটেলসমূহ বেলা ১২ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে এবং টেকওয়ে বা অনলাইনে সেবা প্রদান করতে পারবে।
আরও পড়ুন: ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউন, আজ প্রজ্ঞাপন
ক্রমবর্ধমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, করোনা সংক্রমণের কারণে সারাদেশে রবিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৭৮ জন, যা এ পর্যন্ত দেশের একদিনের মৃত্যুর রেকর্ড। এর আগে গত শনিবার দেশে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেন ৭৭জন।
বর্তমানে দেশে করোনা সংক্রমণের কারণে মোট মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৭৯৩ জনে এবং মোট মৃত্যুর হার ১.৪৫ শতাংশ।
গত বছরের মার্চের ১৮ তারিখ বাংলাদেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী মারা যায়। এ বছরের জানুয়ারিতে ৫৬৮ জন,ফেব্রুয়ারিতে ২৮১ জন এবং মার্চে ৬৩৮ জন করোনা রোগী মারা যায়।
আরও পড়ুন: ভয়ংকর হচ্ছে করোনা: পরিপূর্ণ লকডাউনে যাচ্ছে বাংলাদেশ
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভাবে ৫ হাজার ৮১৯ জন রোগী সংক্রমিত হয়েছে। বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৭৫৬ জনে।
করোনার সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সরকার ৫ এপ্রিল হতে ৭ দিনের লকডাউন ঘোষণা করে। পরবর্তীতে দোকান ও বিপণিবিতান খোলা রাখার এবং সিটি করপোরেশন এলাকাতে যানচলাচলের অনুমতি দেয়।