প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট স্থানীয় সময় সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
দু'দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সফরে গত ২৪ এপ্রিল ব্যাংককে যান শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন শেখ হাসিনা
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ২৬ এপ্রিল গভর্নমেন্ট হাউসে থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন এবং দুই নেতার উপস্থিতিতে ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি, পর্যটন ও কাস্টমস বিষয়ক সহযোগিতা এবং বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনার বিষয়ে পাঁচটি দ্বিপক্ষীয় নথি সই হয়।
সেখানে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিন আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিয়ে শেখ হাসিনা তার এই সফরকে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেন।
তিনি বলেন, ‘এই সরকারি সফর আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারিত্বের নতুন যুগের সূচনা করেছে।’
আরও পড়ুন: ৬ দিনের থাইল্যান্ড সফর শেষে সোমবার দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ২৫ এপ্রিল দুসিথ প্রাসাদের অ্যামফর্ন সাথার্ন হলে থাইল্যান্ডের রাজা ও রানী মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা ক্লাওচা উয়ুয়া এবং সুথিদা বজ্রসুধা বিমলা লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
বহুপক্ষীয় উদ্যোগের অংশ হিসেবে শেখ হাসিনা ২৫ এপ্রিল থাইল্যান্ডের ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রের ইউএন এসকাপ হলে (২য় তলায়) জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে বক্তব্য দেন।
ঢাকা ও ব্যাংককের মধ্যে সই হওয়া পাঁচটি নথি হলো- একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং একটি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই), জ্বালানি সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক, কাস্টমস সম্পর্কিত বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা সম্পর্কিত সমঝোতাপত্র, পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতাপত্র এবং এলওআই ২০২৪ সালের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা শুরু করবে।
গত ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ৬ দিনের সফর শেষে দেশের উদ্দেশে ব্যাংকক ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী