জাতিসংঘের কর্মকর্তা বাংলাদেশি লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সুফিউল আনামকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইয়েমেনে আল-কায়েদা দ্বারা অপহরণ করেছিল। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) -এর সহায়তায় উদ্ধার হওয়ার পর আজ ঢাকায় ফিরে এসেছেন তিনি।
বুধবার সুফিউল আনামকে বহনকারী এমিরেটসের একটি ফ্লাইট সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
সুফিউল তার আগমনের পর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে তার বন্দিত্বের হতাশাজনক বর্ণনা দেন। তাকে উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
সুফিউল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশে এনএসআই কর্মকর্তারা আমাকে উদ্ধার করে।’ এজন্য ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স (এনএসআই) কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
জাতিসংঘের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম সবাই আমাকে ভুলে গেছে। কিন্তু যখন আমি এনএসআই সদস্যদের সঙ্গে দেখা করি, তখন আমাকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে আমাকে ভুলে যাওয়া হয়নি।’
আরও পড়ুন: উত্তর নাইজেরিয়ায় বন্দুকধারীর হামলায় ১৫ জন নিহত, ৫ ত্রাণকর্মীকে অপহরণ
ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন,‘সন্ত্রাসীদের অপহরণ করার পর জীবিত বাড়ি ফিরতে পারব তা ভাবিনি। গত ১৮ মাস ধরে আমি খুব বিপজ্জনক পরিবেশে ছিলাম। আমি ভেবেছিলাম যে কোনো মুহূর্তে সন্ত্রাসীরা আমাকে মেরে ফেলবে।’
সংবাদ সম্মেলনে সুফিউল তাকে উদ্ধারকারী এনএসআই কর্মকর্তাদের পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি তাদের পেশাদারিত্ব এবং তাদের দায়িত্ববোধ ভুলে যাব না।’
কীভাবে তাকে অপহরণ করা হয়েছিল সে বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সুফিউল বলেন, ‘১৮ মাস আগে যখন আমি পেশাগত দায়িত্ব থেকে ফিরে আসছিলাম তখন আমাকে অপহরণ করা হয়... বন্দিদশায় প্রতিদিনই মৃত্যুর ভয় দেখা দেয়। যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।’
আরও পড়ুন: ইয়েমেনে কারাভোগ শেষে ফিরছেন ৫ বাংলাদেশি