বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের দ্রুত ও সুষ্ঠু উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি আরও বলেছেন: ‘আমার স্বীকার করা উচিত যে চীন-সম্পর্কিত ইস্যুতে এখনও কিছু ভুল বোঝাবুঝি রয়েছে, যা সাংস্কৃতিক পার্থক্য, জ্ঞানভিত্তিক পক্ষপাতিত্ব বা ভুয়া খবর থেকে উদ্ভূত।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, এগুলো অনিবার্যভাবে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের বন্ধুত্বপূর্ণ ভিত্তিকে ক্ষুন্ন করবে এবং দুই দেশের পারস্পরিক প্রয়োজনীয় সহযোগিতাকে আরও বাধাগ্রস্ত করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বীমা ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে: চীনা রাষ্ট্রদূত
রাষ্ট্রদূত বলেন, তথাকথিত কোনো ‘চীনা ঋণের ফাঁদ’ নেই এবং বাংলাদেশ সরকার এটা ভালো করেই জানে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত দেশের ঋণের সঙ্গে জিডিপি অনুপাতের পরিমাণ ৩৮ শতাংশ এবং সামগ্রিক ঋণের পোর্টফোলিওর ৩৭ শতাংশ বৈদেশিক ঋণ।
আরও পড়ুন: চীন তিস্তা খনন করতে পারলে এ অঞ্চলের মানুষের জীবন বদলে যাবে: রাষ্ট্রদূত
তিনি বলেন, ‘অন্যদের মধ্যে, চীনের ঋণ বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের মাত্র ৭ শতাংশ, সামগ্রিক ঋণের ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং জিডিপির শূন্য দশমিক ৯৮ শতাংশ।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, পরিসংখ্যান বলছে যে বাংলাদেশে চীনের ঋণ যেকোনো আর্থিক প্রান্তিকের চেয়ে অনেক কমে গেছে।
দূত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের কথা উল্লেখ করেন। যিনি বহুবার বলেছেন যে ‘বাংলাদেশ চীনের ঋণের ফাঁদে পড়ার কোন সুযোগ নেই। আমরা আমাদের আয় বুঝে ব্যয় করি।
আরও পড়ুন: দুবাইয়ে চালকবিহীন বৈদ্যুতিক উড়ুক্কু গাড়ি চালাল চীনা প্রতিষ্ঠান