ভুল
আপনি ভুল করেননি, ক্রাইম করেছেন: জেলা জজকে হাইকোর্ট
আদালতের আদেশ টেম্পারিং করে কক্সবাজার জেলা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈল ভুল নয়, অপরাধ করেছেন বলে জানিয়েছেন উচ্চ আদালত।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই)বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
আদালত বলেন, ‘আপনি আদালতের আদেশ টেম্পারিং করেছেন। এতে আপনার বুক কাঁপল না? আপনি ভুল করেননি, ক্রাইম (অপরাধ) করেছেন।’
শুনানিতে জেলা জজের আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা আদালতকে বলেন, ‘আমরা কনটেস্ট করতে চাই না। আমরা আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইছি। আমরা খুবই অনুতপ্ত।’
এ সময় হাইকোর্ট জেলা জজকে ডায়াসের সামনে ডেকে আদেশ টেম্পারিংয়ের বিষয়ে জানতে চান। তখন জেলা জজ বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে বলেন, ভুলে এটা হয়েছে। তখন আদালত বলেন, আপনি ভুল করেননি। আপনি জেনে বুঝে ক্রাইম করেছেন।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির সৌন্দর্য রক্ষায় হাইকোর্টের ৩ নির্দেশনা
এ সময় তার আইনজীবীরা আবারও ক্ষমা চাইলে হাইকোর্ট বলেন, আপনারা ক্ষমা চাইছেন। অনুতপ্ত হচ্ছেন। কিন্তু জেলা জজের মধ্যে তো কোনো অনুশোচনা নেই। তিনি অনুতপ্তও নন। মন থেকে অনুশোচনা আসতে হয়।
পরে আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২৭ জুলাই দিন নির্ধারণের আদেশ দেন।
এর আগে গত ২১ জুন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন নামঞ্জুর হওয়া আসামিদের আইন ভঙ্গ করে আদেশে মিথ্যা তথ্য লিখে একই দিনে জামিন দেওয়ার ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজকে তলব করেন হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, ১৭ জুলাই সশরীরে হাইকোর্টে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য বলা হলে বুধবার জেলা জজ হাজির হন।
এ সময় প্রথম দিনের শুনানিতেও হাইকোর্ট ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সম্মানজনক বিদায় চাইলে এমন কাজ করতে পারতেন না। পরে আদালত আজ বৃহস্পতিবার আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন।
আইনজীবী সূত্রে জানা যায়, জমির দখল নিয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগে মিঠাছড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ ভুট্টোসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন খোদেস্তা বেগম নামে এক নারী। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত–১ ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী দ্রুত বিচার আদালতে নালিশি মামলা করেন তিনি। এই মামলায় আসামিরা হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১১ এপ্রিল হাইকোর্ট তাদের ছয় সপ্তাহের মধ্যে কক্সবাজারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতে গত ২১ মে আসামিরা আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। সেদিন চিফ চুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৯ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর বিরুদ্ধে একই দিন আসামিরা কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
আদালত ৯ আসামির জামিন মঞ্জুর করেন। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন (ফৌজদারি রিভিশন) করেন খোদেস্তা বেগম।
আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন বলেন, ২১ মে দুপুর ১২টার দিকে ৯ আসামি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন। এর আগেই চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আদেশের কপি পাননি উল্লেখ করে সকাল ১০টার দিকে আদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা জামিনের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হলফনামাসহ আবেদন করেন।
এক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জামিন নামঞ্জুরের আদেশসহ অন্য কাগজপত্রের প্রত্যায়িত অনুলিপি বা প্রত্যায়িত অনুলিপির ফটোকপি দাখিল করা হয়নি। আসামির কারাগারের মেয়াদসহ সার্বিক বিবেচনায় তাদের জামিন মঞ্জুর করা হয়— আদেশে উল্লেখ করেছেন জেলা জজ।
অথচ ৯ আসামি এক মুহূর্তও কারাগারে ছিলেন না। শুনানিতে বিষয়গুলো তুলে ধরা হলে জেলা ও দায়রা জজ আসামিদের কীভাবে জামিন দিলেন—এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। মামলার যাবতীয় নথি নিয়ে আসতে বলেন আদালত। মামলার কোনো সার্টিফাইড কপি ছাড়াই একই দিনে জেলা ও দায়রা জজ কোন আইনে, কীভাবে জামিন দিয়েছেন, সেই বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল হাসপাতালের ডা. মিলিকে আত্মসমর্পণে হাইকোর্টের নির্দেশ
পাঠ্যবইয়ে ভুল থাকলে সংশোধন করা হবে: দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন, পাঠ্যবইয়ে ভুল থাকলে তা সংশোধন করা হবে।
তিনি বরেন, এ বছরের পাঠ্যপুস্তকগুলো পরীক্ষামূলক এবং ৬২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা করা হয়েছে। এর পরেও ত্রুটি থাকতে পারে এবং সেগুলো সংশোধন করা হবে।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: দেশ-বিদেশের শ্রম বাজার মাথায় রেখে শিক্ষা কাঠামো তৈরি করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
নবম ও ১০ম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ‘ত্রুটি’ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের কথা উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ বছর প্রকাশিত ৯ম-১০ম শ্রেণির পাঠ্যবই নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন।
তবে এই পাঠ্যপুস্তকগুলো নতুন নয়, এটি ২০১৩ সাল থেকে রয়েছে। তবে অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি হতে পারে এবং সংশোধন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, যদি কেউ এই বইগুলোতে ত্রুটি খুঁজে পান, আমাদের জানান এবং আমরা তা সংশোধন করব।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন ছাড়া ভালো শিক্ষার্থী পাওয়া অসম্ভব। ‘রোট লার্নিং’ কার্যকর হচ্ছে না। এজন্য আমরা শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তনের চেষ্টা করছি। আমরা কাজ করে শেখার উৎসাহিত করার চেষ্টা করছি। একজন শিক্ষক গাইডের ভূমিকা পালন করবেন।
প্রতিদিন মূল্যায়ন করা হবে। শিক্ষাও মজার হওয়া উচিত। আমরা শুধু সার্টিফিকেট পাই কিন্তু বলতে পারি না যে আমরা সত্যিই শিখেছি।
এছাড়া চাকরির বাজারে দক্ষতার ফাঁক রয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষারও পরিবর্তন হবে। আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা চাকরির বাজারের জন্য প্রস্তুত থাকুক। আমরা চাই তারা উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় যাক।
এছাড়া তারাই সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে।
তিনি বলেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এই বছরের জন্য বিতরণ করা পাঠ্যপুস্তকের তিনটিতে পাওয়া নয়টি ভুল সংশোধন করেছে। এনসিটিবি ১৫ জানুয়ারি, ২০২৩ এ এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে এবং তাদের ওয়েবসাইটে সংশোধন পোস্ট করেছে।
এছাড়া ৯-১০ শ্রেণির তিনটি পাঠ্যবইয়ে ভুলগুলো ধরা পড়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও বিশ্ব সভ্যতার ইতিহাস’-এ চারটি, ‘বাংলাদেশ অ্যানড গ্লোবাল স্টাডিজ’-এ তিনটি এবং ‘সিভিক অ্যান্ড সিটিজেনশিপ’-এ দুটি ভুল পাওয়া গেছে। এনসিটিবি তাদের ওয়েবসাইটে বিস্তারিতভাবে সমস্ত সংশোধন প্রদান করেছে।
এছাড়া বিশিষ্ট লেখক ও শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল এবং অধ্যাপক হাসিনা খান তাদের সম্পাদিত নতুন ক্লাস ৭ বিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তকে পাওয়া চুরির বিষয়বস্তুর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এদিকে সোমবার জারি করা এক বিবৃতিতে তারা দায়িত্বও নিয়েছে।
এছাড়া এ বছর থেকে নতুন পাঠ্যক্রমের অংশ হিসেবে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির বিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তক ‘অনুসন্ধানী পথ’ হিসেবে শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাপিয়ে বিতরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাঠ্যবইয়ে ভুল থাকলে সংশোধন করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
পাঠ্যবইয়ের কাগজ বেশি ব্রাইট হলে চোখের জন্য ক্ষতি হতে পারে: শিক্ষামন্ত্রী
পাঠ্যবইয়ে ভুল থাকলে সংশোধন করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে এ বছর যে বইগুলো গেছে সেগুলো পরীক্ষামূলকভাবে গেছে। তাই পাঠ্যবইয়ে ভুল থাকলে সংশোধন করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা ৩৩ হাজার মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষামূলকভাবে বইগুলো দিয়েছি। প্রতিনিয়ত আমাদের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে আমরা ফিডব্যাক নিবো। সারা বছর বইগুলোকে আমরা পরিমার্জন ও পরিশীলন করব।
আরও পড়ুন: দেশ-বিদেশের শ্রম বাজার মাথায় রেখে শিক্ষা কাঠামো তৈরি করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ষষ্ঠ-সপ্তম ও প্রথম শ্রেণিতে যে যে বইগুলো গেছে সেগুলোতে কোথাও ভুল থাকতে পারে। কোনো কোনো বিষয় নিয়ে কারও অস্বস্তি থাকতে পারে। আমাদেরকে জানাবেন, আমরা আগামী বছরের জন্য সেগুলো সংশোধন করব এবং বাকি ক্লাসের বইগুলো আমরা সেই আলোকে তৈরি করব।
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা এখন একটি সময় উপযোগী শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করেছি। কারণ সামনে ২০৩০ সালে আমাদের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের একটি বিষয় রয়েছে। যেটি আমাদের আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার। যেখানে ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এখানে চার নম্বরে যেটি রয়েছে সেটি হল শিক্ষা এবং সেটি সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
এছাড়া শিক্ষার লক্ষ্য পূরণ হলে বাকিগুলোও সহজে পূরণ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: পাঠ্যবইয়ের কাগজ বেশি ব্রাইট হলে চোখের জন্য ক্ষতি হতে পারে: শিক্ষামন্ত্রী
কলেজে ভর্তির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পড়ালেখার মান নিশ্চিত করা: শিক্ষামন্ত্রী
পাঠ্যপুস্তকে ইতিহাস বিকৃতি ও ভুল: এনসিটিবি চেয়ারম্যানকে ফের তলব
মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের (৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত) পাঠ্যপুস্তকে ভুল ও ইতিহাস বিকৃতি থাকায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনটিসিবি) চেয়ারম্যান ও এক সদস্য (কারিকুলাম)কে আগামী ২৯ নভেম্বর স্বশরীরে হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বুধবার এক আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আলী মুস্তফা খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার কাজী মাঈনুল হাসান।
পরে অ্যাডভোকেট আলী মুস্তফা খান বলেন, গত বছর তারা হাজির হয়ে আদালতকে জানান, ২০২২ সালের শিক্ষাবর্ষের বইতে আর এমন ভুল থাকবে না। সংশোধন করে দেবেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, একই ভুল এখনও রয়েছে। এ কারণে ফের তাদেরকে তলব করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার তাদেরকে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ ২৮ নভেম্বর
জানা যায়, গত বছর পাঠ্যবইতে ভুল ও বিকৃতি তুলে ধরে রিট আবেদনটি দায়ের করেন ভিকারুননিসা নূন স্কুলের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাবা মো. আলমগীর আলম। রিট আবেদনে ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বিভিন্ন পাঠ্যবইয়ে অন্তত পাঁচশ ভুল ও ইতিহাস বিকৃতি তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয়, ভুলে ভরা মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবই। একই সঙ্গে করা হয়েছে ইতিহাস বিকৃতিও। এছাড়া সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক-এমন অনেক বিষয় পাঠ্য বইগুলোতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ধরনের পাঁচ শতাধিক ভুল ও বিকৃতির তথ্য সামনে এসেছে। মাধ্যমিক স্তরের নবম-দশম শ্রেণির ‘বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা’ বইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘মুজিব নগর সরকারের রাষ্ট্রপতি’ বলা হয়েছে। অথচ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বলা হয়েছে ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি’। আবার জাতীয় সংগীতও লেখা হয়েছে ভুল। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ে বঙ্গভবনকে লেখা হয়েছে প্রেসিডেন্ট ভবন। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কার্যকাল পাঁচ বছর বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ সংবিধানের কোথাও আলাদাভাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যকালের কথা উল্লেখ নেই।
ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর পাঠ্যপুস্তকে থাকা এসব ভুল ও ইতিহাস বিকৃতির ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান এবং বোর্ডের একজন সদস্য (কারিকুলাম)কে তলব করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি এদেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে নিয়ে বিকৃতি ও ভুলে ভরা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যবইয়ের দায়সারা ও দায়িত্বহীন প্রকাশনা কেন অবৈধ ও সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে এবং ওইসব ভুল ও বিকৃতি সংশোধনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। শিক্ষা সচিব, ন্যাশনাল কারিকুলাম অ্যান্ড টেক্সটবুক বোর্ডের চেয়ারম্যান, সদস্য (কারিকুলাম), সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের জবাব দিতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: ১৮ মিলিয়নের শিক্ষা উদ্যোগ চালু করল বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র
চবির মূল ক্যাম্পাসে ফেরার দাবিতে ফটকে তালা লাগিয়ে চারুকলার শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
‘কিছু ভুল বোঝাবুঝি বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে’
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের দ্রুত ও সুষ্ঠু উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি আরও বলেছেন: ‘আমার স্বীকার করা উচিত যে চীন-সম্পর্কিত ইস্যুতে এখনও কিছু ভুল বোঝাবুঝি রয়েছে, যা সাংস্কৃতিক পার্থক্য, জ্ঞানভিত্তিক পক্ষপাতিত্ব বা ভুয়া খবর থেকে উদ্ভূত।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, এগুলো অনিবার্যভাবে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের বন্ধুত্বপূর্ণ ভিত্তিকে ক্ষুন্ন করবে এবং দুই দেশের পারস্পরিক প্রয়োজনীয় সহযোগিতাকে আরও বাধাগ্রস্ত করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বীমা ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে: চীনা রাষ্ট্রদূত
রাষ্ট্রদূত বলেন, তথাকথিত কোনো ‘চীনা ঋণের ফাঁদ’ নেই এবং বাংলাদেশ সরকার এটা ভালো করেই জানে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত দেশের ঋণের সঙ্গে জিডিপি অনুপাতের পরিমাণ ৩৮ শতাংশ এবং সামগ্রিক ঋণের পোর্টফোলিওর ৩৭ শতাংশ বৈদেশিক ঋণ।
আরও পড়ুন: চীন তিস্তা খনন করতে পারলে এ অঞ্চলের মানুষের জীবন বদলে যাবে: রাষ্ট্রদূত
তিনি বলেন, ‘অন্যদের মধ্যে, চীনের ঋণ বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের মাত্র ৭ শতাংশ, সামগ্রিক ঋণের ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং জিডিপির শূন্য দশমিক ৯৮ শতাংশ।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, পরিসংখ্যান বলছে যে বাংলাদেশে চীনের ঋণ যেকোনো আর্থিক প্রান্তিকের চেয়ে অনেক কমে গেছে।
দূত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের কথা উল্লেখ করেন। যিনি বহুবার বলেছেন যে ‘বাংলাদেশ চীনের ঋণের ফাঁদে পড়ার কোন সুযোগ নেই। আমরা আমাদের আয় বুঝে ব্যয় করি।
আরও পড়ুন: দুবাইয়ে চালকবিহীন বৈদ্যুতিক উড়ুক্কু গাড়ি চালাল চীনা প্রতিষ্ঠান
লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত ভুল: বিএনপি
ঈদুল আজহার আগে সরকারের এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্তকে একটি ভুল সিদ্ধান্ত বলে অভিহিত করেছে বিএনপি। এর পাশাপাশি দলটি সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এটি করোনা পরিস্থিতিকে আরও অবনতি করতে ভূমিকা রাখবে।
মঙ্গলবার বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং এর আশেপাশের এলাকায় মানুষের মাঝে খাবার বিতরণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুনঃ নারায়ণগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত ‘আইওয়াশ’: বিএনপি
তিনি বলেন, সরকার তার ব্যর্থতাগুলো আড়াল করতে একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তে (লকডাউন শিথিল করা) পরিস্থিতি আরও খারাপ করবে ।
প্রিন্স অভিযোগ করে বলেন, সরকারের ব্যর্থতা এবং ভুল সিদ্ধান্তের কারণে মানুষ বারবার বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে পড়ছে।করোনার মহামারি মোকাবেলায় সরকার নেয়া বেশিরভাগ পদক্ষেপই মানুষের বিরুদ্ধে ছিল। তারা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কল কারখানাগুলোতে কাজের নিরাপদ পরিবেশ নেই: বিএনপি
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, তাদের দল বারবার বলে আসছে যে, অভাবী, স্বল্প আয়ের মানুষ এবং যারা দিন আনে দিন খায় তাদের প্রয়োজনীয় অর্থ ও খাদ্য সহায়তা না দিলে এই লকডাউন বা কারফিউ কাজে আসবে না। এখন এটি সঠিক প্রমাণিত হয়েছে। তিনি সরকারের কাছে প্রান্তিক মানুষকে এককালীন সহায়তা দেয়ার দাবি জানান।
এর আগেও দলীয় নেতারা দেশব্যাপী লকডাউনের মধ্যে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করেছেন জানান প্রিন্স। তিনি বলেন, সরকারের অপরিকল্পিত লকডাউনের কারণে অনেক মানুষ ভোগান্তি রয়েছে। এ কারণে বিএনপির জাতীয়তাবাদী নাগরিক সমাজ এই খাদ্য বিতরণ কর্মসূচির ব্যবস্থা করেছে।
আরও পড়ুনঃ খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় ‘বাধা’ দিচ্ছে সরকার: বিএনপি
নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান খাদ্য বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
নাটোরে ভুল অস্ত্রোপচারে গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ
নাটোর, ০৬ অক্টোবর (ইউএনবি)- নাটোরের বড়াইগ্রামে বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভুল অস্ত্রোপচারে গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জঙ্গি দমনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যাওয়া মহা ভুল ছিল: ইমরান খান
ঢাকা, ২৪ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)- পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ৯/১১ (নাইন ইলেভেন) পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়া তার দেশের ‘অন্যতম বড় ভুল’ ছিল।