ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য সরকার সবসময় তাদের পাশে আছে। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ও দানশীল ব্যক্তিরা আহতদের পাশে এসে দাড়িয়েছেন।’
বুধবার (২১ আগস্ট) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের খোঁজ-খবর নেওয়া ও তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান শেষে ধর্ম উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আহত বিজিবি সদস্য ও শিক্ষার্থীদের দেখতে পিলখানা হাসপাতালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
গোটা জাতিই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতদের পাশে আছে জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের ভরণপোষণের জন্য সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এছাড়া বেসরকারি হাসপাতালে যারা চিকিৎসাধীন, তাদেরও আমরা নিবিড় পর্যবেক্ষণের মধ্যে রেখেছি। তাদের চিকিৎসার ব্যয়ও সরকার বহন করবে।’
ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘হতাহতদের সাহায্যের জন্য প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগে একটি ফাউন্ডেশন গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। এ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসার ব্যয়ভার সরকার বহন করছে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে যারা রয়েছেন তাদের চিকিৎসার প্রয়োজনে সব ব্যয় সরকার বহন করবে।’
এছাড়া আহতদের মধ্যে কাউকে যদি দেশের বাইরে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করার প্রয়োজন হয় তার ব্যবস্থাও সরকার করবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. খালিদ হোসেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন, আস-সুন্নাহ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ ও সহসমন্বয়ক তানভীর আহমদ।
উল্লেখ্য, আস-সুন্নাহ ট্রাস্টের উদ্যোগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত ২০ জনকে ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। এ ট্রাস্ট থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় ইতোমধ্যে ৫ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছে।
এ ফাউন্ডেশন পরবর্তীতে আরও ৫ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা দেবেন।