তিনি বলেন, ‘বিশ্বে শিল্প, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট বিপ্লব ঘটেছে। চট্টগ্রাম শিল্পনগরী হিসেবে পরিচিত। মিরসরাইয়ে ইকোনমিক জোন হচ্ছে। আগামী ৫ বছরে সব কারখানায় ডিজিটাল প্রযুক্তি কাজে লাগাতে হবে। দেশে এমন কোনো ইউনিয়ন থাকবে না যেখানে হাইস্পিড ইন্টারনেট থাকবে না।’
সোমবার চট্টগ্রামে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন ও জেলা পর্যায়ে আইটি পার্ক স্থাপন প্রকল্পে জমি প্রদানকারী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাথে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে চট্টগ্রামকে সহায়তা করা মানে বাংলাদেশকে সহায়তা করা। গ্রামকে শহর করব- এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা। আমরা ডিজিটাল চট্টগ্রাম তৈরি করতে সহযোগিতা করব। হাই-টেক পার্ক এ ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরনগর, বাণিজ্যিক রাজধানী। এ নগরের মেয়র আইটি পার্কের জন্য জমি বরাদ্দ দিয়েছেন। বন্দরনগরী দু’এক বছরের মধ্যে প্রযুক্তিনগরে পরিণত হবে। শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের জ্ঞানভিত্তিক কর্মসংস্থান হবে।’
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম এবং চসিকের পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সামসুদ্দোহা এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সভাপতিত্বে নগর ভবনের চসিক সভা কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, মো. ইসমাইল, হাসান মুরাদ বিপ্লব, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ও চসিক কমকর্তারা।