অনলাইনে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের সেরা তিন দলের নাম বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হয়।
স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্ল্যাটফর্মের ওপর পরিকল্পনা দিয়ে প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে টিম ডিকোড। দ্বিতীয় স্থান টিম হোয়াইট কলার ক্রু ও তৃতীয় স্থান পেয়েছে টিম ব্লিঙ্ক।
বিজয়ী তিনটি দলের সদস্যরা ‘স্ট্র্যাটেজিক অ্যাসিস্টেন্ট প্রোগ্রাম’-এর ‘অ্যাসেসমেন্ট সেন্টার’-এ সরাসরি যোগদানের সুযোগ ও আকর্ষণীয় পুরস্কার পাবে। এছাড়া সেরা পাঁচটি দলের সদস্যরা বাংলালিংকের ‘অ্যাডভান্সড ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম (এআইপি)’-এ সরাসরি যোগদান করার পাশাপাশি ‘লার্ন ফ্রম স্টার্টআপস’ ও ‘ক্যাম্পাস টু কর্পোরেট’-এ অংশগ্রহণ করতে পারবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এছাড়াও এ আয়োজনে ভিওন-এর গ্রুপ চিফ পিপল অফিসার এলেনা সুতিক, বাংলালিংক-এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এরিক অস, চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিসার মনজুলা মোরশেদ, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার উপাঙ্গ দত্ত এবং প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা যুক্ত ছিলেন।
প্রতিযোগিতাটিতে অংশগ্রহণের জন্য এবার প্রায় ১৬ হাজার তরুণ-তরুণী আবেদন করে। সুনিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাছাইকৃত প্রতিযোগীরা অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে গ্রুমিং, বুট ক্যাম্প সেশন, ওয়ার্কশপ ও আরও কিছু কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ পায়। গ্র্যান্ড ফিনালেতে প্রতিযোগীদের নিয়ে গঠিত মোট পাঁচটি দল তাদের পরিকল্পনা উপস্থাপন করে। উপস্থাপিত পরিকল্পনাগুলো মূল্যায়নের পর সেরা তিনটি দলের নামে ঘোষণা করে প্রতিযোগিতার বিচারকরা।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘তরুণদের মধ্যেই একটি জাতির মূল শক্তি ও সম্পদ নিহিত থাকে। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য ডিজিটাল উপায়ে তাদের ক্ষমতায়ন করা প্রয়োজন। তাই আমাদের দায়িত্ব হলো এমন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা যেখানে তারা বিকশিত হবে ও তাদের ডিজিটাল দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারবে। দৃষ্টান্তমূলক এ উদ্যোগের মাধ্যমে তরুণদের মূল্যবান সুযোগ দেয়ার জন্য আমরা বাংলালিংককে ধন্যবাদ জানাই।’
বাংলালিংকের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এরিক অস বলেন, ‘এ উদ্ভাবনী তরুণদের প্রয়োজনীয় সুযোগ দেয়া গেলে তারা নিজেদের প্রতিভা বিকাশ করতে পারবে এবং আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে উদ্ভাবনী ডিজিটাল পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসতে পারবে। আজ তারা যে স্বীকৃতি পাচ্ছে তা আগামী দিনে অবশ্যই তাদের আরও বেশি উদ্ভাবনী হতে অনুপ্রেরণা যোগাবে।’
২০১৭ সালে চালু হওয়ার পর থেকে বাংলালিংক ইনোভেটর্স প্রতি বছর নিয়মিত আয়োজিত হয়ে আসছে।