রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর ব্রিটেনের প্রথা অনুযায়ী প্রিন্স চার্লস ব্রিটিশ রাজা হয়েছেন। প্রয়াত রানির জীবনের উপাখ্যান তুলে ধরার পাশাপাশি চার্লসকে নিয়েও গণমাধ্যমে চর্চা চলছে। তার জীবনের নানা দিক তুলে ধরার পাশপাশি ভারত উপমহাদেশের সঙ্গে তার যোগাযোগ, সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। এর মাঝেই আশির দশকের একটি চুমুর ঘটনা আবারও চর্চিত হচ্ছে।
এই চুমুর ভিডিও ৮০-এর দশকের গোড়ার দিকে ভারত ও ব্রিটেনের গণমাধ্যমের প্রধান প্রচারণায় ছিল, যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছিল না।
পড়ুন:রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাক্রম
সেই সময় ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ে বলিউড অভিনেত্রী পদ্মিনী কোলহাপুরী ব্রিটিশ সিংহাসনের উত্তরাধিকারী প্রিন্স চার্লসের গালে চুমু দিয়েছিলেন, সেই যুবরাজ বর্তমানে রাজা। ১৯৮১ সালে মুম্বাইয়ে চলচ্চিত্র 'আহিস্তা আহিস্তা'-এর শুটিং সেট পরিদর্শনে আসলে তাকে মালা পরিয়ে এই চুমু দেন পদ্মিনী।
চুমুর এই ঘটনা শুধু ভারতে শোরগোল ফেলেনি বরং ব্রিটেনেও এই বলিউড অভিনেত্রীকে ‘প্রিন্স চার্লসকে চুম্বন করা মহিলা’ হিসেবে পরিচিত করে তোলে।
পরে পদ্মিনী স্থানীয় একটি গণমাধ্যম দেয়া সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, ‘এটি গালে ঠোঁট ছোঁয়ানো ছিল মাত্র...গণমাধ্যম এটি নিয়ে বাড়াবাড়ি করেছে। এটা কোন বড় ব্যাপার ছিল না।’
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সম্পর্কে ১০টি বিষয়
পদ্মিনী ১৯৭২ সালে ৭ বছর বয়সে শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয় শুরু করেছিলেন। এরপর তিনি ১৯৭৬ এবং ১৯৭৭ সালে যথাক্রমে 'জিন্দেগি' ও 'ড্রিম গার্ল' - দুটি হিট সিনেমাতে অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু 'সত্যম শিবম সুন্দরম'-এ তার চরিত্রের জন্য তিনি সবার নজরে এসেছিলেন।
আইকনিক চলচ্চিত্র নির্মাতা রাজ কাপুর ১৯৮২ সালে তার ছেলে ঋষি কাপুরের বিপরীতে 'প্রেম রোগ'-এ তাকে প্রধান নায়িকা হিসেবে অভিনয় করার সুযোগ দেন। এই সিনেমায় অভিনয় করার সময়ই তিনি সংবেদনশীল হয়ে ওঠেন।
পদ্মিনীর 'বিধাতা' (১৯৮২), 'সোওতেন' (১৯৮৩) এবং 'পেয়ার ঝুকতা নাহিন' (১৯৮৫) এর অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র শিল্পে সেরা উপহার দিয়েছিলেন। পরে তিনি আঞ্চলিক মারাঠি চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন।
আরও পড়ুন:রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ (১৯২৬-২০২২) : ইতিহাসের দ্বিতীয় দীর্ঘমেয়াদী রাজত্বকারী সম্রাজ্ঞীর বিদায়