১৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানতে যাচ্ছেন বলিউড তারকা জুটি অভিনেতা আমির খান ও পরিচালক-প্রযোজক কিরণ রাও।
শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা এই বিয়েবিচ্ছেদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। এ সময় তাঁরা তাদের ছেলে আজাদের দায়িত্ব পালন এবং সিনেমার কাজ একসঙ্গে করবেন বলেও জানান।
আরও পড়ুনঃ ‘আমি আমার জীবন ফিরে পেতে চাই’
বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, আমরা গত ১৫ বছরের সংসার জীবনে একে অপরের সঙ্গে নানা অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নিয়েছি। বিশ্বস্ততা, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় আমাদের সম্পর্ক বিকশিত হয়েছে। এখন আমরা আমাদের জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছি। এই অধ্যায়ে আমরা আর স্বামী-স্ত্রী হিসেবে থাকছি না। তবে আমরা সন্তানের বাবা-মা ও পরিবারের সদস্য হিসেবে একে অপরের পাশে থাকবো।
আমির ও কিরণ ২০০৫ সালে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন। এর ছয় বছর পর ২০১১ সালে ছেলে আজাদের জন্ম হয়। এই দুই তারকার ‘লগন’ চলচ্চিত্রের শুটিংয়ে পরিচয় হয়। কিরণ ওই সিনেমার সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেন।
আরও পড়ুনঃ জন্মদিনে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি মিঠুন
বিবৃতিতে আমির ও কিরণ বলেন, আমরা বাব-মা হিসেবে আমাদের সন্তান আজাদের যাবতীয় দায়িত্ব একসাথে পালন করবো। আমরা একসঙ্গে চলচ্চিত্রে কাজ করবো। এর পাশাপাশি পানি ফাউন্ডেশনসহ অন্যান্য প্রকল্পে একসঙ্গে কাজ করবো।
সম্পর্কের ইতি টানাকে ইতিবাচকভাবে নেয়ার জন্য আমির ও কিরণ তাদের পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের ধন্যবাদ জানান। তাঁরা বলেন, আমরা আমাদের শুভাকাঙ্খীদের অনুরোধ করবো এই বিচ্ছেদকে সম্পর্ক শেষ হওয়া হিসেবে না দেখে আমাদের জীবনের নতুন যাত্রা হিসেবে দেখতে।
বলিউডে "মিস্টার পারফেকশনিস্ট" হিসাবে পরিচিত ৫৬ বছর বয়সী এই অভিনেতা। ৩০ বছরের ক্যারিয়ারের মাধ্যমে তিনি নিজেকে ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রভাবশালী অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি বলিউডে চতুর্থ ধনী অভিনেতা। ১৮০ মিলিয়ন ডলার পরিমাণ সম্পদের মালিক।
১৯৭৩ সালে চাচা নাসির হুসেনের ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘ইয়াদন কি বারাত’ তে শিশু শিল্পী হিসাবে আমিরের আত্মপ্রকাশ ঘটে। প্রাপ্তবয়সে ১৯৮৪ সালে ‘হোলি’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন। এর চার বছর পর তিনি ‘কায়ামত সে কায়ামত তাক’ চলচ্চিত্রে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পান।
১৯৯৯ সালে তিনি আমির খান প্রোডাকশন প্রতিষ্ঠা করেন, যার প্রথম চলচ্চিত্র ‘লগন’ (২০০১)। এই চলচ্চিত্রের জন্য তিনি জাতীয় পুরস্কার পান।