এ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকালে শহরের বাবুরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে কবুতর প্রেমিরা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবার যাত্রা স্থানে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় রঙ-বেরঙের বিচিত্র কবুতর নিয়ে চাঁদপুরের বিপুলসংখ্যক কবুতরপ্রেমী র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।
র্যালি আয়োজক ‘চাঁদপুর পিজিওন লাভার গ্রুপের’ প্রধান অ্যাডমিন ফিরোজ আলম বলেন, কবুতর পালন শখের বসে বা বিনোদন কেন্দ্রীক হলেও এখন এর রয়েছে বাণিজ্যিক সম্ভাবনা। এছাড়াও যে মাদকের বিরুদ্ধে আমরা রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমেও পেরে উঠছিনা, তা এই কবুতর পালনের মাধ্যমে অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলে মনে করনে তিনি।
ফিরোজ আলম বলেন, উঠতি বয়সের যুব সমাজের শখের চর্চায় কবুতর বা অন্যান্য পাখি পালনে উদ্বুদ্ধ করতে পারলে বিনোদনের পাশাপাশি অবসরের সঙ্গী হওয়ায় মাদক, বাজে আড্ডা ও নেতিবাচক মনোভাব তৈরির সুযোগ হবে না।
অনুষ্ঠানে আয়োজক কমিটির আরেক সদস্য মো. সাঈদ উদ্দিন শিকদার বলেন, কবুতর আমাদের ভালোবাসার পাখি। এ পাখি নিয়ে আমাদের স্বপ্ন অনেক। আপনি যত বেশি মানুষ চিনবেন পাখির প্রতি ভালোবাসা আপনার তত বাড়বে। যুব সমাজ এই পাখি পালনের দিকে ঝুঁকছে। যার ফলে বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় বেশির ভাগ জাতের কবুতর এদেশে পাওয়া যায়। যার বাজার মূল্য প্রতি পেয়ার ৫শ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত।
অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মানিক বলেন, কবুতর সেক্টরকে সরকারি পৃষ্ঠপোসকতার মাধ্যমে আরও বেগবান করলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে এদেশের যুব সমাজ।