মাদক মামলা থেকে বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে অব্যাহতি দিয়েছে ভারতের মাদকবিরোধী সংস্থা নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো।
শুক্রবার দেশটির নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো এনডিপিএস আদালতে অভিযোগপত্র পেশ করে। দাখিল করা অভিযোগপত্রে আরিয়ান খানের নাম ছিল না।
তবে এই মামলায় মুনমুন ধামেচা এবং আরবাজ মার্চেন্ট অভিযোগপত্রে খালাস পাননি। দুজনকেই মাদক মামলার আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৬ জনের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাদের মধ্যে আরিয়ান খান ছাড়াও রয়েছেন সাহু, আনন্দ, সুনীল সেহ, অরোরা। এ কারণে তাদের সকলকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। বাকি ১৪ জনের বিরুদ্ধে ক্রুজ মাদকের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিলাসবহুল ক্রুজ জাহাজে অভিযান চালিয়ে মাদক সেবনের অভিযোগে আটকের তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় পর ২৮ অক্টোবর শাহরুখপুত্র জামিন পান।
আরও পড়ুন: শাহরুখপুত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দিতে আরও সময় চায় এনসিবি
এর আগে ৩ অক্টোবর মুম্বাই থেকে গোয়াগামী একটি বিলাসবহুল ক্রুজ জাহাজে অভিযান চালিয়ে মাদক সেবনের অভিযোগে বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ানকে আটক করে ভারতের নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)।
জাহাজটিতে বলিউড এবং ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির আরও অনেক সেলিব্রেটিরা ছিলেন। পার্টিতে নিষিদ্ধ মাদক ব্যবহারের খবর পেয়ে অভিযান চালায় এনসিবি।
এনসিবি'র সূত্র অনুযায়ী, আরিয়ান ছাড়াও মাদক সেবনের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে অনেককে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে মাদক ও নিষিদ্ধ পদার্থ জব্দ করা হয়েছে।
আরিয়ানে বাবা শাহরুখ খান বলিউডের সবচেয়ে প্রতিভাবান তারকাদের একজন। ‘কিং খান’ নামে পরিচিত ২৫ বছরের ক্যারিয়ারে ৮০টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।
শাহরুখ খান ১৯৯৫ সালে দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে অভিনয়ের মাধ্যমে খ্যাতি অর্জন করেন। এটি ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্যতম সফল চলচ্চিত্র। ছবিটির শুটিং হয়েছে ভারত ও ইউরোপে।
তার অন্যান্য সফল সিনামগুলোর মধ্যে রয়েছে দিল তো পাগল হ্যায় (১৯৯৭), কুছ কুছ হোতা হ্যায় (১৯৯৮) এবং দেবদাস (২০০২)।
আরও পড়ুন: শাহরুখপুত্রের বিরুদ্ধে মাদক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সমীর অপসারিত