বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি
দেশজুড়ে বিভাগীয় পর্যায়ে একযোগে যন্ত্রসংগীত উৎসব
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে মাসব্যাপী সারা দেশে চলছে নানান অনুষ্ঠানমালা।
এর অংশ হিসেবে রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দেশের ৬টি বিভাগীয় শহরে জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় একযোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে যন্ত্রসংগীত উৎসব।
রবিবার চট্টগ্রাম বিভাগে যন্ত্রসংগীত উৎসবের সমাপনী আয়োজনে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ।
শনিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়েছে সিলেট, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশালে। একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের সমন্বয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমিগুলোর ব্যবস্থাপনায় সারা দেশে এ উৎসব আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রত্যেক বিভাগের জেলা, উপজেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ের শিল্পীরা এই উৎসবে অংশ নিয়েছেন।
জেলা, উপজেলা ও বিভাগীয় যন্ত্রসংগীত শিল্পীদের পৃষ্ঠপোষকতা ও উৎসাহ প্রদানে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এ উৎসব আয়োজন। বিভাগগুলোর মধ্যে সিলেটের চাঁদনী ঘাট, ক্বীন ব্রিজ চত্ত্বর, রংপুরে পাবলিক লাইব্রেরি মাঠ, টাউন হল চত্বর, রাজশাহীতে লালন শাহ মুক্ত মঞ্চ, ময়মনসিংহে বৈশাখী মঞ্চ-২, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন পার্ক, খুলনায় শহীদ হাদিস পার্ক মুক্তমঞ্চ এবং বরিশালে বেলস পার্কে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতিটি আয়োজনে কমপক্ষে ৫৫ থেকে ৮০ জন যন্ত্রশিল্পী যৌথ ও এককভাবে তাদের পরিবেশনা উপস্থাপন করেছেন। ময়মনসিংহে বৃন্দ তবলা পরিবেশন করে ১৭ জন শিশু শিল্পী।
এছাড়া বৃন্দ ঢোল, একক বেহালা, সারিন্দা-খমক-বেহালা, একক সেতার, অর্কেস্ট্রা, সানাই ও বাঁশি বাজান শিল্পীরা।
সিলেটে মাদল, বেহালা, বাঁশি, মৃদঙ্গ, গিটারসহ বিভিন্ন পরিবেশনা উপস্থাপন করা হয়েছে। খুলনায় তবলার লহড়া, বাঁশি, রাগ ইমন, বেহালায় রাগ সংগীত, রাগদেশ, ত্রিতাল, ভৈরবী প্রভাতী, দেশ রাগ, কাফি রাগের সুরের মূর্ছনা, সেতারসহ বিভিন্ন পরিবেশনা উপস্থাপন করেন খুলনার যন্ত্রশিল্পীরা।
একইভাবে বরিশালে তবলার লহড়া, দোতারায় রাগ, ঢোল, বেহালা, কাহন, শেইকার, খমক, পারকিউশনের উপস্থাপনা উপভোগ করেন দর্শনার্থী ও শ্রোতারা।
রাজশাহীতে সমবেত পরিবেশনায় উপস্থাপন করা হয় ধুন, রাগ যন্ত্রে সংগীত, বেঞ্জু, পিয়ানো, বাঁশি, তবলার লহড়া, বাংলার ঢোল, সরোদ, কর্নেট, পাখোয়াজ ও অন্যান্য যন্ত্রসংগীত পরিবেশনা।
সময়ের বিবর্তনে অনেক যন্ত্রসংগীত চর্চার অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে, পৃষ্ঠপোষকতা ও চর্চার মাধ্যমে সেসব সংগীত যন্ত্র টিকিয়ে রাখা এবং শিল্পীদের পৃষ্ঠপোষকতার লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির দেশব্যাপী এ আয়োজন।
৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে- 'জাতীয় যন্ত্রসংগীত উৎসব ২০২৪' অনুষ্ঠিত হবে। বিভাগীয় যন্ত্রসংগীত শিল্পীরা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।
২ সপ্তাহ আগে
ঢাকায় ‘নিনইয়ো- আর্ট অ্যান্ড বিউটি অব জাপানিজ ডলস’ প্রদর্শনী ২ ফেব্রুয়ারি
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ‘নিনইয়ো- আর্ট অ্যান্ড বিউটি অব জাপানিজ ডলস’ শীর্ষক জাপানি পুতুল প্রদর্শনী।
বাংলাদেশে জাপান দূতাবাসের সহযোগিতায় জাপান ফাউন্ডেশন আয়োজিত এই অনুষ্ঠান সোমবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
আরও পড়ুন: কাঁসা, পিতল ও তামার তৈজসপত্র ব্যবহার কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত, বিজ্ঞান কী বলে?
এই প্রদর্শনীতে থিমগুলো চারটি বিভাগে বিভক্ত-
‘শিশুদের বেড়ে উঠার জন্য প্রার্থনা করবেন নিনইয়ো’, ‘চারুকলা হিসেবে নিনইয়ো’, ‘লোকশিল্প হিসেবে নিনইয়ো’ ও ‘নিনইয়ো সংস্কৃতির বিস্তার’।
জাপানি ভাষায় ‘নিনইয়ো’ মানে পুতুল।
এই প্রদর্শনী জাপানের ইতিহাস ও লোকসংস্কৃতিতে লালিত জাপানি পুতুল ও এর সংস্কৃতি তুলে ধরে। মৌসুমি উৎসবগুলোতে ব্যবহৃত হয় ‘শিশুদের বৃদ্ধির জন্য প্রার্থনারত নিনইয়ো’। এ ছাড়া প্রশংসার জন্য ‘সূক্ষ্ম শিল্প হিসেবে নিনইয়ো’ বিভিন্ন কৌশল, প্রযুক্তি ও শৈলীর মাধ্যমে চিহ্নিত করা হয়। লোক শিল্প হিসেবে নিনইয়ো স্থানীয় বৈচিত্র্য ও সাধারণ সৌন্দর্যের প্রতীক এবং ‘নিনইয়ো সংস্কৃতির বিস্তার’ আজও পুতুলের বৈচিত্র্যকে অব্যাহত রেখেছে তারই প্রতিফলন।
জাপান দূতাবাস আশা করছে, জাপানি পুতুলের সুন্দর উপস্থাপনায় বাংলাদেশের মানুষ মুগ্ধ হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মানুষ আমাকে কলকাতার চেয়ে বেশি ভালোবাসে: স্বস্তিকা
তীব্র শীতে পোষা প্রাণীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়
১০ মাস আগে
ঢাকায় ১৯তম এশিয়ান আর্ট বিয়েনালের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী আন্তর্জাতিক আর্ট বিয়েনাল ইভেন্ট ‘এশিয়ান আর্ট বিয়েনাল’-এর ১৯তম আসরের উদ্বোধন করেছেন।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে (বিএসএ)আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
আজ থেকে আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী চলবে।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯তম এশিয়ান আর্ট বিয়েনাল বাংলাদেশ ২০২২-এ ১৪৯ জন বাংলাদেশি শিল্পীসহ ১১৪টি দেশের ৪৯৩ জন শিল্পীর তৈরি ৬৪৯টি শিল্পকর্ম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রধান আর্ট ইভেন্টে অংশগ্রহণকারী দেশি ও বিদেশি শিল্পীদের সৃষ্ট দ্বি-মাত্রিক ও ত্রিমাত্রিক শিল্পকর্ম; যেমন- পেইন্টিং, প্রিন্ট, ফটোগ্রাফ, ভাস্কর্য, পারফরম্যান্স আর্ট এবং ইনস্টলেশন ও নিউমিডিয়া আর্ট প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে ১৫তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধন
১৯তম এই সংস্করণে দেশি ও বিদেশি শিল্পী, শিল্প সমালোচক, জুরি ও পর্যবেক্ষকদের অংশগ্রহণে 'হোম অ্যান্ড ডিসপ্লেসমেন্ট'- শীর্ষক দুই দিনের আন্তর্জাতিক সেমিনার রয়েছে।
শুক্রবার ও শনিবার জাতীয় আর্ট গ্যালারি মিলনায়তন এবং বিএসএ-এর জাতীয় নাট্য ভবনের সেমিনার কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
বিএসএ-তে প্রধান প্রদর্শনী ছাড়াও, জাতীয় জাদুঘর শিল্প অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে তার সংগ্রহ থেকে বাংলাদেশি শিল্পীদের ৪২টি শিল্পকর্ম প্রদর্শন করবে।
এই ১৯ তম এশিয়ান আর্ট বিয়েনাল বাংলাদেশ ২০২২ দেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করা হয়েছে। যিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্বপ্নদ্রষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা। শিল্পকলা একাডেমি প্রতিবছর এশিয়ান আর্ট বিয়েনালের আয়োজন করে আসছে।
এবারে ছয়জন শিল্পীকে সম্মানসূচক পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে এবং তিনজনকে গ্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়েছে।
জুরি বোর্ডের সভাপতি শিল্পী রফিকুন নবী পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন।
লা গ্যালারিতে অভিজিৎ চৌধুরীর একক চিত্র প্রদর্শনী
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘উদ্যমী আমি-ভেনচার মায়েস্ট্রাস’ কর্মসূচি আয়োজিত
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
কে এম খালিদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব মো. আবুল মনসুর, জুরি বোর্ডের সদস্য ও বিশিষ্ট পোলিশ শিল্প সমালোচক জারোস্লো সুচান, বিএসএ মহাপরিচালক এবং ১৯তম এশিয়ান আর্ট বিয়েনাল বাংলাদেশ ২০২২-এর প্রধান সমন্বয়কারী লিয়াকত আলী লাকী প্রমুখ।
২ বছর আগে
সঙ্গীত পরিচালক আলম খানের প্রতি শিল্পকলা একাডেমির শ্রদ্ধা
বরেণ্য সুরকার ও সংগীত পরিচালক আলম খান এর স্মরণে এক আলোচনা ও সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। রবিবার সন্ধ্যা ৭ টায় একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জনসংযোগ কর্মকর্তা হাসান মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতে মো. খুরশিদ আলম এর কণ্ঠে পরিবেশিত হয় ‘তবলার তেরে তেকে তাক’ ও ‘আজকে না হয় ভালোবাসো আর কোন দিন নয়’ শিরোনামে দুটি একক সংগীত; কণ্ঠশিল্পী স্মরণের কন্ঠে ‘চাঁদের সাথে আমি দেবো না তোমার তুলনা’ ও ‘আমি রজনীগন্ধা ফুলের মত’; পান্থ কানাই এর কণ্ঠে ‘ওরে নীল দরিয়া’ ও ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’; রন্টি দাস এর কণ্ঠে ‘মনে বড় আশা ছিল‘ ও ‘কাল তো ছিলাম ভালো’ এবং সম্রাট এর কণ্ঠে ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’ ও ‘জীবনের গল্প আছে বাকী অল্প’ শিরোনামে সংগীত পরিবেশন করে আলম খানকে স্মরণ করেন শিল্পীরা।
যন্ত্রশিল্পী হিসেবে তবলায় ছিলেন-মিলন ভট্রাচার্য, কিবোর্ডে- রুপতনু, গিটারে-সেলিম হায়দার, বাঁশীতে- মো. মনিরুজ্জামান এবং প্যাডে-ছিলেন পুলক।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন দিনাত জাহান মুন্নি।
অনুষ্ঠানে একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী সভাপতিত্ব করেন এবং স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন একাডেমির সংগীত বিভাগের পরিচালক আফতাব উদ্দিন হাবলু।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন একাডেমির সচিব মো. আছাদুজ্জামান। আলোচনা পর্বে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার।
এছাড়াও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কন্ঠশিল্পী এবং সংগীত পরিচালক সৈয়দ আব্দুল হাদি, বিশিষ্ট সুরকার শেখ সাদি খান, বিশিষ্ট সংগীত পরিচালক জাহাঙ্গীর হায়াত খান রুমু, বিশিষ্ট কন্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন এবং প্রয়াত আলম খানের পুত্র আরমান খান ও আদনান খান।
আরও পড়ুন: কলকাতায় দশম সহজিয়া উৎসবে তারকা সমাবেশ
শিল্পকলায় শুরু হলো ‘জাতীয় নৃত্যনাট্য উৎসব’
২ বছর আগে
অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি নাসিম, সম্পাদক রওনক
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়ে গেল অভিনয় শিল্পী সংঘের নির্বাচন। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। এবার মোট ভোটার সংখ্যা ছিলেন ৭৪৮ জন।
এবার সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন গত দু’বার সাধারণ সম্পাদক পদে থাকা আহসান হাবিব নাসিম। আর সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন রওনক হাসান।
সহ-সভাপতির তিনটি পদে জয়ী হয়েছেন আনিসুর রহমান মিলন, ইকবাল বাবু ও সেলিম মাহবুব। নাজনীন হাসান চুমকী ও জামিল হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে।
আরও পড়ুন: শিল্পী সমিতির নির্বাচন শেষে ভোট গণনা চলছে
অন্যান্য পদে যারা নির্বাচিতরা হলেন- সাংগঠনিক সম্পাদক সাজু খাদেম, অর্থ সম্পাদক মুহাম্মদ নূর এ আলম (নয়ন), দপ্তর সম্পাদক শেখ মেরাজুল ইসলাম, অনুষ্ঠান সম্পাদক রাশেদ মামুন অপু, আইন ও কল্যাণ সম্পাদক ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, প্রচার ও প্রকাশনা পদে প্রাণ রায়, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক সুজাত শিমুল।
কার্যনির্বাহী সদস্যরা হলেন- আইনুন নাহার পুতুল, তানভীর মাসুদ, মাজনুন মিজান, আশরাফুল আশীষ, সূচনা সিকদার, শামস সুমন ও হিমে হাফিজ।
উল্লেখ্য, অভিনয় শিল্পী সংঘের নির্বাচন কমিশনার ছিলেন অভিনেতা খায়রুল আলম সবুজ।
আরও পড়ুন: আমাকে বারবার অপমানিত হতে হয়েছে: পপি
২ বছর আগে
‘জাতীয় নৃত্য উৎসব’ বৃহস্পতিবার শুরু
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে ৭৫টি দলের নতুন নৃত্য নিয়ে তিন দিনব্যাপী ‘জাতীয় নৃত্য উৎসব’ শুরু হতে যাচ্ছে। ২০ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বিকাল ৪টায় উৎসবের উদ্বোধন হয়ে চলবে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত। এছাড়াও কিছু সংগঠন একই সময়ে নিজ নিজ জেলায় তাদের প্রযোজনাটি মঞ্চস্থ করবেন।
বৃহস্পতিবার উৎসব উপলক্ষে জাতীয় চিত্রশালার সেমিনার কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উৎসব সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। উপস্থিত ছিলেন একাডেমির সচিব মো. আছাদুজ্জামানসহ বিভিন্ন বিভাগের উপপরিচালক ও অন্যান্য কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে জমে উঠেছে এফডিসি প্রাঙ্গণ
সংবাদ সম্মেলনের তথ্য অনুযায়ী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্বের প্রধান অতিথি সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার সভাপতি মিনু হক। এছাড়া অনুষ্ঠানের সভাপতি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
৭৫ টি দলে ১০ জন করে নৃত্যশিল্পী কাজ করার সুযোগ পেয়েছে। আবার কোন কোন দলে ২০/৩০ জন নৃত্যশিল্পীও অংশগ্রহণ করেছে। এতে করে ৭৫ জন নৃত্য পরিচালকসহ দেশের প্রায় এক হাজার নৃত্যশিল্পীকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পৃষ্ঠপোষকতা করতে সক্ষম হয়েছে।
নতুন নৃত্য প্রযোজনা নির্মাণের জন্য ৭৫টি দলের মধ্যে ৫০টি দলকে এক লাখ টাকা এবং ২৫টি দলকে ৮০ হাজার করে মোট ৭০ লাখ টাকা অর্থ সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশে এতো মৌলিক নৃত্য নিয়ে এটিই প্রথম উৎসব।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্ত আসাদুজ্জামান নূর
২ বছর আগে
একুশে পদকপ্রাপ্তদের সম্মান জানালো মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়
২০২১ সালে একুশে পদকপ্রাপ্তদের সম্মানিত করেছে নাট্যদল মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়। সোমবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় সংগঠনের আয়োজনে ১১ দিনব্যাপী ‘বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা নাট্যোৎসব ২০২১’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তাদের হাতে সম্মাননা তুলে দেয়া হয়।
সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন- চলচ্চিত্রে সৈয়দ সালাহউদ্দীন জাকী, অভিনয়ে সালমা বেগম সুজাতা ও রাইসুল ইসলাম আসাদ, নাটকে আহমেদ ইকবাল হায়দার, আবৃত্তিতে ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, আলোকচিত্রে পাভেল রহমান, সংগীতে পাপিয়া সারোয়ার এবং ভাষা ও সাহিত্যে কবি কাজী রোজী।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উত্তরীয় পরিয়ে ও সম্মাননা স্মারক দিয়ে তাদের সম্মাননা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.আবুল মনসুর।
তিনি এ সময় বলেন, মহাকাল নাট্য সম্প্রদায় এদেশের সংস্কৃতির জগতে অতিপ্রিয় একটি জাগরণমূলক নাম। দেশের সংস্কৃতির প্রতি যেসব মানুষ ও প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে, দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে মহাকাল নাট্য সম্প্রদায় তাদের সম্মাননা জানিয়েছে। এটি অনেক বড় একটি বিষয়। আগামীতে এই উৎসব আরও বড় পরিসরে হবে এই আশা রাখছি। সংস্কৃতির ক্ষেত্রে এমন উৎসবই আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করবে। এই দলের মতো আরও কয়েকটি দল যদি এভাবে এগিয়ে আসে তাহলে আমরা আমাদের সংস্কৃতিকে আরও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে পারবো।
উৎসব উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সায়লা ফারজানা, রোটারিয়ান এ কে এম আখতারুজ্জামান, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মো. জাকেরুল আবেদীন, কাস্টম ও ভ্যাট কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার ড. মো. তাজুল ইসলাম, জনতা ব্যাংকের উপ মহাব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ‘বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা নাট্যোৎসব’ এর প্রধান সমন্বয়ক মীর জাহিদ হাসান।
সমাপনী অনুষ্ঠানে সম্মাননা জানানো শেষে মঞ্চায়িত হয় মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে থিয়েটার প্রযোজনা ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ নাটকটি।
আরও পড়ুন: পুনঃমঞ্চায়ন হলো মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের ‘ঘুমনেই’
শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী শুরু
৩ বছর আগে
৬৪ জেলায় গণহত্যা পরিবেশ থিয়েটার মঞ্চায়ন
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে দেশজুড়ে ৬৪ জেলায় গণহত্যা পরিবেশ থিয়েটার প্রদর্শিত হবে।
শনিবার শিল্পকলার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: আইএএফএম ১৩টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করবে
৩ বছর আগে
স্থাপনা শিল্পে ২১ আগস্টের ভয়াবহতা: প্রদর্শনী শুরু আজ
আজ ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৭তম বার্ষিকী। ২০০৪ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী জনসভায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা করা হয়।
সেই হামলার ভয়াবহতাকে শিল্পরূপে ফুটিয়ে তুলতে বিশেষ ভিজুয়াল আর্ট প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। শনিবার বিকাল ৫টায় একাডেমির নন্দন মঞ্চে তিন দিন ব্যাপী এই স্থাপনা শিল্প প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হবে।
আরও পড়ুন: ভয়াল ২১ আগস্ট আজ
বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ রাজনৈতিক হামলা। হামলার ভয়াবহতা ও ক্ষতিগ্রস্তদের স্মরণে ‘আগস্ট রিপিটেড অ্যাটেম্পটস্’ শিরোনামে এই শিল্প প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২১ আগস্টের হামলা ‘আ’লীগের মাস্টারপ্ল্যান’: বিএনপি
শিল্পী অভিজিৎ চৌধুরীর তত্ত্বাবধায়নে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলি লাকির মূল পরিকল্পনায় বিভিন্ন শিল্পীদের কাজ এই প্রদর্শনীতে প্রদর্শন করা হবে।
৩ বছর আগে
এবারও মহামারিতে উত্তাপ ছড়াতে পারল না পহেলা বৈশাখ উদযাপন
করোনা মহামারির কারণে এ বছরও বাংলাদেশের মানুষ উৎসবহীনভাবে পালন করছে বাংলা বছর ১৪২৮ এর প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ।
প্রতি ইংরেজি বছরের ১৪ এপ্রিল বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হয়। কিন্তু করোনা প্রকোপ রোধে সরকারের দেয়া লকডাউনের কারণে গতবছরের মতো এ বছরও বাঙালি উৎসবমুখরভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপন থেকে বঞ্চিত হল।
বুধবার সকালে প্রতিটি টেলিভিশন চ্যানেলই ঘরে থাকা মানুষকে বছরের প্রথম দিনটি আনন্দময় করে তুলতে প্রচার করে বিশেষ অনুষ্ঠান।
প্রায় ছয় শতাব্দী পূর্বে, ১৫৫৬ খ্রীস্টাব্দে মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সন প্রবর্তনের পর থেকেই পহেলা বৈশাখ উদযাপন হয়ে ওঠে বাঙালি জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।
প্রতি বছরই এই দিনটিতে সরকারি ছুটি থাকায় বাংলাদেশের সকল স্তরের মানুষই অত্যন্ত আনন্দ-সমারোহের সাথে দিনটি উদযাপনে অংশ নেয় আর নতুন বছরকে বরণ করে নেয়। এটাই বাঙালির ঐতিহ্য।
আরও পড়ুন: দেশে নতুন লকডাউন: দুর্দান্ত কোনো ফলাফলের বিষয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা
পহেলা বৈশাখ উদযাপনে বাংলাদেশের যেসকল সংগঠন অগ্রগামী যেমন, ছায়ানট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, সকলেই বর্ষবরণ উপলক্ষে সারাদিনব্যাপী ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে।
বাংলাদেশের বাঙালির পহেলা বৈশাখ উদযাপনের অন্যতম দুই আকর্ষণ হল ভোর সকালে রমনার বটমূলে ছায়ানটের আয়োজনে গানের আসর এবং ঢাবির চারুকলা অনুষদের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্র। এদেশের মানুষের কাছে এই দুইয়ের উপস্থিতি ছাড়া যেন পহেলা বৈশাখের দিন ই শুরু হয় না। কিন্তু এ বছরও এই দুইয়ের অনুপস্থিতি থাকছে বাঙালি বর্ষবরণে।
১৯৮৯ সালে শুরু হওয়া এবং প্রতিবছর পহেলা বৈশাখে অনুষ্ঠিত মঙ্গল শোভাযাত্রা ২০১৬ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।
এ বছর মঙ্গল শোভাযাত্রা না হওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাবি চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নিসার হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ‘সরকারের দেয়া বিধিনিষেধ কারণে আমরা চারুকলে অনুষদ প্রাঙ্গনে প্রতীকীভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের ব্যবস্থা করেছি। ঐতিহ্যের কথায় মাথায় রেখে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ সহ মাত্র ২০ জনের উপস্থিতিতে একটি প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রা ভিডিও ধারণ করা হয়।’
সোমবার ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমেদ লিসা বলেন, ‘আমারা জনসমাগমের উপস্থিতি ছাড়াই প্রথাগতভাবে বর্ষবরণের সকল প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু গতছরের মতো এবারও আমরা বাংলাদেশ টেলিভিশনে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করব।’
বিটিভি ছাড়াও ছায়ানট তাদের ইউটিউব চ্যানেলে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে।
আরও পড়ুন: মানুষের জীবন সর্বাগ্রে: প্রধানমন্ত্রী
এছাড়াও সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সংগঠন নিজেদের অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে।
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী আলাদা বার্তায় দেশ ও বিদেশের সকল বাঙালি ভাষাভাষী মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। উভয়েই দেশের প্রত্যেককে স্বাস্থ্যবিধি সীমিত পরিসরে বর্ষবরণ উদযাপনের আহ্বান জানান।
৩ বছর আগে