শুক্রবার বিকালে সৈকতের সিগাল পয়েন্টের বালিয়াড়িতে উৎসবের উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ঝাং ঝু ও জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল জানান, বাংলাদেশসহ এশিয়ার দেশগুলোতে ঘুড়ি উড়ানো বেশ জনপ্রিয়। আদিকাল থেকে বাংলাদেশে ঘুড়ি উড়ানোর রয়েছে ঐতিহ্য ও আভিজাত্য। এটি মূলত সংস্কৃতির অংশ। নতুন প্রজন্মের কাছে ঘুড়ির মাধ্যমে নিজ সংস্কৃতির পরিচয় লাভে ভূমিকা পালন করে।
কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প বিকাশ ও দেশি-বিদেশি ঘুড়ির সাথে সখ্যতা সৃষ্টিতে প্রতি বছর সৈকতে ঘুড়ি উৎসব আয়োজন করা হয়ে থাকে।
ঘুড়ি উৎসবের প্রথম দিনে সৈকতের বালিয়াড়িতে সোনালী রোদে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের বুকে উড়েছে শতাধিক রং-বেরংয়ের ঘুড়ি। এর মধ্যে রয়েছে বেসাতি, ড্রাগন, ডেল্টা, বহুবিধ বক্স, মাছরাঙা, ঈগল, ডলফিন, অক্টোপাস, সাপ, ব্যাঙ, মৌচাক, কামরাঙা, গুবরে পোকা, আগুনপাখি, পেঁচা, ফিনিক্স, জেমিনি, চরকি, নৌকা, সাইকেল, বাঘ, কুকুর, হাতি, ফুটবল ইত্যাদি ধরন ও রঙের ঘুড়ি।
উৎসবে ঘুড়ি ছাড়াও বাঙালি ঐতিহ্যের আদি উপাদান ২৫ ফুট দীর্ঘ বিরাট টেরাকোটা টেপা পুতুল, নৃত্যরত বিশাল হাওয়াই মানুষ, ভয়ঙ্কর ড্রাগন, আকর্ষণীয় চরকি, ঘুড়ি, ফানুস, বাঘ ছানার নৃত্য, এয়ারশিপের মতো অনেক রকম ডিসপ্লে আইটেম দর্শনার্থীদের নজর কাড়ে।
ঘুড়ি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মৃধা বেনু জানান, শিশু কিশোরদের বিশেষভাবে সাধারণ মানুষকে ঘুড়ির প্রতি মনযোগী করা, ঘুড়ির আধুনিক ধারার সঙ্গে পরিচিত করা, আধুনিক বাজিকর ঘুড়ি নির্মাণ উড়ানোর কাজে প্রশিক্ষিত করাসহ ঘুড়ির সার্বিক বিকাশ ঘটাতেই কাজ করছে বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশন।