উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের আমীর হোসেনের ছেলে আজিম পেশায় সরকারি চাকরীজীবী হলেও বাগান করা তার শখ। গত মার্চে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে অন্যদের মতো ঘরে বসে সময় অপচয় না করে নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা চালিয়ে সফলও হয়েছেন এ যুবক।
তিন মাসে আগে উপজেলার পোপাদিয়া ইউনিয়নের আকলিয়া মৌজার কানুনগোপাড়া-শ্রীপুর বুড়া মসজিদ সড়কের পাশে নিজের পরিত্যক্ত ১০ শতক জমিতে পেঁপে বাগান গড়ে তোলেন আজিম। পেঁপে ছাড়াও বাগানে নানা শাক-সবজি ও বিভিন্ন জাতের লেবু, কলা, পেয়ারা এবং আম গাছ রোপণ করেন তিনি। আর নিজের বাগানে উৎপাদিত এসব ফসল দিয়ে পরিবারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে বিক্রিও করছেন।
আজিম বলেন, ‘মার্চ মাসে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার পর সড়কের পাশে অনাবাদি পড়ে থাকা নিজের ১০ শতক জমিতে শখের বশে বাগান করার পরিকল্পনা মাথা আসে। সেই ভাবনা থেকেই ওই জমিতে উন্নত জাতের উচ্চ ফলনশীল শতাধিক পেঁপে চারা রোপণ করি। বর্তমানে প্রতিটি পেঁপে গাছে এক মণের ওপরে ফলন হয়েছে। সেই সাথে অন্যান্য শাক-সবজি পরিবার, পরিজন ও পাড়া প্রতিবেশীর মাঝেও বিতরণ করেছি। এতে এক ধরনের তৃপ্তি রয়েছে।’
সরকারি সহায়তা পেলে ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে পেঁপে বাগান গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মাত্র ১১ হাজার টাকা ব্যয়ে শুরু করলেও এখন বাগানে প্রায় ১০০ মণ পেঁপের ফলন আশা করছি। বর্তমান বাজার দরে এ পেঁপের প্রথম ফলন বিক্রি করে আমার এক লাখ টাকা আয় হবে। অন্যান্য শাক-সবজি ও ফল থেকেও আয় হবে।’
শাহাদাত নামে ওই এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘আজিম শিক্ষিত যুবক এবং সরকারি চাকরিও করেন। এরপরও সে গ্রামে বাগান করে সবজি উৎপাদন করছে। আমরাও তাকে নানাভাবে সহযোগিতা করছি। আজিমের পেঁপে চাষ দেখে আশপাশের অনেকেই এখন অনাবাদি পরিত্যক্ত জমিতে পেঁপে চাষের আগ্রহ দেখাচ্ছেন।’
উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দূর্গাপদ দেব জানান, মাকড়সা ও ছত্রাক ছাড়া পেঁপে বাগানে তেমন কোনো সমস্যা দেখা যায় না। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ পেঁপে চাষ করে লাভ করা সম্ভব।