রবিবার বিভিন্ন বাজার ঘুরে ইউএনবির এই প্রতিনিধি দেখতে পান যে স্থানীয়ভাবে চাষ করা রসুন প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যার মূল্য এক মাস আগেও ছিল ১০০-১৫০ টাকা।
আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৩০ টাকায়। যা গত মাসে ছিল ১২০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি।
এদিকে, রবিবার ব্যবসায়ীরা আদা বিক্রি করছেন প্রতি কেজি ১৪০-২০০ টাকায়, যা জানুয়ারি মাসে ১১০-১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলেছেন, চীনে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পরে রসুনের দাম বেড়েছে। বাংলাদেশে আমদানি করা ৯০ ভাগ রসুন আসে চীন থেকে।
তারা আরও ইঙ্গিত দেন যে বর্তমান পরিস্থিতি যদি দীর্ঘদিন অব্যাহত থাকে তবে দাম আরও বাড়তে পারে।
রাষ্ট্র পরিচালিত বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশনের (টিসিবি) মতে, আমদানি করা রসুনের দাম ৩১.০৩ শতাংশ বেড়েছে। এক মাসের তুলনায় স্থানীয় রসুনের দাম বেড়েছে ৩.৭০ শতাংশ।
মগবাজার কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান জানান, বেশ কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েছে। ‘তবে, রসুন এবং আদা এই দুটি দ্রব্যের দাম অনেক বেড়েছে।’
তিনি জানান, আমদানি করা রসুন তিনি প্রতি কেজি ২৩০ টাকায় এবং আদা ১১০- থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করছেন।
আনিসুর আরও জানান, তাদের বিক্রি নির্ভর করে পাইকারি বাজারের দামের ওপর।
শ্যামবাজারের পাইকারি বিক্রেতা আব্দুল মতিন ইউএনবিকে জানান, বাংলাদেশে আমদানি করা রসুনের ৯০ ভাগ আসে চীন থেকে।
তবে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে এশিয়ার এই দেশটি থেকে গত এক মাস ধরে আমদানি বন্ধ রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘রসুন এবং আদা মূলত চীন থেকে আমদানি করা হয়। আমদানি স্বাভাবিক হয়ে গেলে দাম কমবে।’
মতিন আরও বলেন, প্রতি বছর চীন থেকে ১-১.৫ লাখ টন রসুন আমদানি করা হয়। তবে আদা আমদানির কোনো পরিসংখ্যান তিনি দিতে পারেননি।
এদিকে কাঁচাবাজারে মসুর, গোলমরিচ, হলুদ ও চিনির দামও বেড়েছে।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এসএম নাজির হোসেন বলেন, নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানোর জন্য ব্যবসায়ীরা সবসময় অজুহাত খোঁজেন। ‘এবারও তারা একই কাজ করেছে, যদিও করোনাভাইরাসের কোনো প্রভাব নেই,’ বলেন তিনি।
ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি করেছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা একইভাবে রসুন ও আদার দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে। এই সংকট দীর্ঘদিন থাকবে না বলে আশা প্রকাশ করেন নাজির।