তবে এ বছর তার আগ্রহের প্রতি সমর্থন জানিয়ে এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিবার এগিয়ে এসে একটি কমিটি করে তার গড়া প্রতিমা দিয়ে সার্বজনীনভাবে শারদীয় দুর্গা উৎসব পালন করছেন।
এলাকাবাসী জানায়, শিশুটি জন্ম সূত্রে কোনো পাল পরিবারের সদস্য নয়। কিন্তু ৬-৭ বছর থেকে মালাকারদের প্রতিমা তৈরি করতে দেখে এখন নিজেই প্রতিমা তৈরি করতে পারে। গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে প্রতিমা তৈরি করে নিজ বাড়িতে পূজা উদযাপন করলেও, এ বছর বড় আকারের প্রতিমা তৈরি করার জন্য শ্রাবণ মাস থেকে বালক বিজন কুমার দাস কাজ শুরু করে।
তারা জানায়, তার বাবা বিমল দাসসহ তার পূর্বপুরুষ ঝালকাঠি শহরের নামকরা মিষ্টি ব্যবসায়ী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিবারটি সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে বাসন্ডা ইউনিয়নের কুনিহারী গ্রামে এক টুকরো জমি কিনে বসবাস শুরু করে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সময় থেকে বিজন দাস তার খাতায় দেব-দেবীর ছবি আঁকত।
শিশু বিজন কুমার জানায়, প্রতিষ্ঠানিক লেখাপড়ার চেয়ে শিল্পের এ কাজগুলো করতে তার ভালো লাগে। তাই সে এই কাজ করে চলেছে। প্রতিমা শিল্পীদের কাজ দেখে সেও এই কাজে দক্ষতা অর্জন করেছে।
বিজনের মা অঞ্জলি রানী দাস জানান, তার ছেলে প্রতিষ্ঠানিক লেখাপড়ার চেয়ে বিভিন্ন ধরনের মূর্তি তৈরিতে আগ্রহী এবং এই কাজ করে সে আত্মতৃপ্তি পায়।
এব্যাপারে পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শিক্ষক অমল কৃষ্ণ সমাদ্দার জানান, এ বছর শারদীয় দুর্গাপূজা কমিটি করে সার্বজনীনভাবে বিজনের তৈরি করা প্রতিমা দিয়েই শারদীয় উৎসব পালন করা হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতা আগামীতেও বজায় রাখা হবে।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ কনিহারী গ্রামের ৫৪টি হিন্দু সম্প্রদায়ভুক্ত পরিবার রয়েছে। আর সব মিলিয়ে এখানে ৩টি সার্বজনীন দুর্গা উৎসব পালিত হচ্ছে।