পাটুরিয়া ঘাটে আটকা পড়েছে শত শত দূরপাল্লার বাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও ট্রাক। ঘাটে আটকে থেকে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা। কয়েক শ পণ্যবোঝাই ট্রাক আটকে রয়েছে ৫ থেকে ৬ দিন ধরে। কবে নাগাদ এ অবস্থার উন্নতি হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না ঘাট কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক সালাউদ্দিন বলেন, নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে বহরের সব ফেরি চলাচল করতে পারছে না। ছোট-বড় ১৬টি ফেরির মধ্যে বড় আকারের পাঁচটি রো রো ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।
রো রো ফেরি হামিদুর রহমান, মতিউর রহমান, গোলাম মাওলা, রুহুল আমিন ও কেরামত আলী চলাচল করছে। বাকি ১১টি ফেরি তীব্র স্রোতে চলতে সক্ষম না হওয়ায় ঘাটে আটকে রাখা হয়েছে। আর যে ফেরিগুলো চলাচল করছে সেগুলোর দ্বিগুণ সময় লাগছে।
স্রোত ও নদী ভাঙনের কারণে দৌলতদিয়া প্রান্তে পাঁচটি ঘাটের মধ্যে মাত্র একটি ঘাট সচল রয়েছে। বাকি চার ঘাটে কোনো ফেরি ভিড়তে পারছে না।
এদিকে, তীব্র স্রোতের কারণে লঞ্চ চলাচল সাত দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। লঞ্চের যাত্রীরা ফেরিতে পারাপার হওয়ায় অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে নির্দিষ্ট পরিমাণ যানও ফেরিতে বহন করা যাচ্ছে না।
পাটুরিয়ায় মহাসড়ক ও দুই টার্মিনালে পাঁচ শতাধিক পণ্যবোঝাই ট্রাক পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। চালকরা জানান, কয়েক দিন ধরে ঘাটে বসে থাকার কারণে তাদের সাথে নিয়ে আসা সব টাকা শেষ হয়ে গেছে। এখন তাদের চরম দুর্ভোগে দিন কাটছে।
পাটুরিয়া ফেরিঘাটের দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক রাসেল আরফাত জানান, ঘাটে অতিরিক্ত যানবাহনের শৃঙ্খলা রক্ষায় পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সিরিয়াল অনুযায়ী যানবাহন পার করানো হচ্ছে।