সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় তিনিই প্রথম বায়োফ্লক প্রযুক্তি ব্যবহারকারী। স্বল্প খরচ ও জায়গা ব্যবহার করে চার মাসে তিনি আশানুরূপ ফলাফল পেয়েছেন।
উপজেলা লোহারশপুর গ্রামে সরেজমিনে দেখা যায়, নাজিম তার বসত ঘরের পেছনেই বায়োফ্লক মৎস্য খামার গড়ে তুলেছেন। পাশাপাশি রয়েছে তিনটি ট্যাঙ্ক। এর মধ্যে ১০ হাজার লিটারের দুটি ট্যাঙ্কে কৈ ও ১৫ হাজার লিটারের অপরটিতে শিং মাছ চাষ করেছেন।
নাজিম জানান, যুক্তরাজ্য প্রবাসী বড় ভাইয়ের উৎসাহ-পরামর্শ ও সহযোগিতায় বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে আগ্রহী হন তিনি। পরে ঘরের পেছনের খালি জায়গায় তিনটি ট্যাঙ্ক নির্মাণ করেন।
প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি শেষে গেল ১৩ জুলাই ময়মনসিংহ থেকে ১২ হাজার কৈ ও ৬ হাজার শিং মাছের পোনা সংগ্রহ করে চাষ শুরু করেন নাজিম। চার মাসে এখন খামারে বিক্রি উপযোগী প্রায় ১ হাজার কেজি কৈ মাছ রয়েছে। খুচরা ১২০ টাকা কেজি ধরে যার বাজার মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। শিং মাছ রয়েছে প্রায় ১৬৭ কেজি। খুচরা ২০০ টাকা কেজি ধরে যার বাজার মূল্য ৩৩ হাজার ৩০০ টাকা।
বায়োফ্লক পদ্ধতির পরীক্ষামূলক প্রথম চাষ থেকেই খরচ বাদে তার মুনাফা হবে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৩০০ টাকা।
নাজিম বলেন, ‘আমি ও আমার এক বোন মিলে দৈনন্দিন কাজ-কর্মের পাশাপাশি খামার দেখাশুনা করি। বায়োফ্লেক পদ্ধতিতে মাছ চাষে খরচ-পরিশ্রম কম। জায়গা অল্প হলেও চাষ করা সম্ভব। এ পদ্ধতি অধিক লাভজনক।’
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘বায়োফ্লেক পদ্ধতিতে প্রথম মাছ চাষে সন্তোষজনক ফলাফল পাওয়ায় চাষিকে অভিনন্দন। আমাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ-সেবা অব্যাহত থাকবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বর্ণালী পাল বলেন, ‘নিঃসন্দেহে এটি একটি ভালো উদ্যোগ। খামার পরিদর্শন করে চাষিকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহায়তা দেয়া হবে।’