গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ১৪৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পাশাপাশি আক্রান্তের সংখ্যা ৮৭৩ জন এবং মারা গেছে ১৯ জন। এমন পরিস্থিতিতে কোনো বাংলাদেশিতো নয়ই, কোনো ভারতীয় নাগরিকও ভারতে প্রবেশ করতে পারছে না। অথচ বাংলাদেশিরা প্রতিদিনই ভারত থেকে বাংলাদেশে বৈধ-অবৈধ পথে প্রবেশ অব্যাহত রেখেছে।
সাতক্ষীরার ভোমরা ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, শনিবার ভোমরা ইমিগ্রেশন দিয়ে ১১৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এদের প্রায় সবার বাড়ি সাতক্ষীরায়। শুক্রবার ভোমরা দিয়ে আগত বাংলাদেশির সংখ্যা ছিল ৯০ জন। গত ১ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত শুধু ভোমরা ইমিগ্রেশন দিয়ে ১ হাজার ৫৩৬ জন বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রী সাতক্ষীরায় প্রবেশ করেছে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গোটা বাংলাদেশে চলছে অঘোষিত লকডাউন। সবাইকে ঘরে থাকতে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। ঠিক সে মুহূর্তেও বন্ধ নেই ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ।
সাতক্ষীরার ভোমরা ইমগ্রেশন ওসি বিশ্বজিৎ সরকার জানান, ২৪ মার্চ ভারত লকডাউন ঘোষণার পর থেকে আজ পর্যন্ত একজন ভারতীয় পাসপোর্ট যাত্রীকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। সেদেশের ইমিগ্রেশন এ ব্যাপারে খুবই কঠোর। অথচ ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ বন্ধ নেই।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিদিনই প্রতিটি থানায় আগতদের তালিকা পাঠাচ্ছি। এছাড়া তারা যাতে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকে সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।’
এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আনিসুর রহিম বলেন, ‘আর এক মুহূর্তও দেরি নয়, এখন থেকে যারাই ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে তাদের আর হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠালে হবে না। সরকারি ব্যবস্থাপনায় তাদেরকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখার পর বাড়িতে পাঠাতে হবে। এটা করতে প্রশাসন ব্যর্থ হলে সাতক্ষীরাবাসীর জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে।’
তিনি বলেন, ‘সাতক্ষীরা যুব উন্নয়নসহ যেসব জায়গা নির্ধারণ করে রাখা হয়েছে সেখানে ভারত থেকে আগত শতভাগ পাসপোর্ট যাত্রীকে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।’