মাত্র ৫৮ সদস্য নিয়ে সেবা দিয়ে আসছে কুমিল্লা জেলা ট্রাফিক পুলিশ। কিন্তু নগরীর ২৫ পয়েন্টেই অন্তত দ্বিগুণ জনবল প্রয়োজন।
জেলা ট্রাফিক পুলিশের তথ্য মতে, নগরীর চকবাজার বাসস্ট্যান্ড ও সিএনজি স্ট্যান্ড, রাজগঞ্জ মোড় ও থানা রোড এলাকা, কান্দিরপাড় লিবার্টি মোড় ও পূবালী চত্বর, শাসনগাছা বাসস্ট্যান্ডের পূর্ব ও পশ্চিম পাশ, টমছমব্রিজ, আদালত মোড়, রানির বাজার, পুলিশ লাইন্স, সালাউদ্দিন মোড়, পদুয়ার বাজার, নজরুল এভিনিউ মডার্ন স্কুল, ঝাউতলা মুন হাসপাতাল, বাদুরতলা ওয়াইডব্লিউসিএ স্কুল, রামঘাট কুমিল্লা টাওয়ার হাসপাতাল, কুচাইতলী কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে এবং তেলিকোনা মোড়সহ অন্তত ২৫ জায়গায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা অত্যাবশ্যক।
এছাড়া, নগরীর বিভিন্ন স্থানে নানা সময়ে প্রয়োজন অনুযায়ী ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করতে হয়। প্রতিটি মোড়ে যদি দুজন করে দায়িত্ব পালন করেন সে ক্ষেত্রেও দুই শিফটে মোট ১০০ ট্রাফিক পুলিশ সদস্য প্রয়োজন। সেখানে দুই শিফটে কাজ করছেন মাত্র ৫৭ জন।
জেলা ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ মো. কামাল উদ্দিন জানান, প্রয়োজনের তুলনায় এক তৃতীয়াংশ জনবল দিয়ে কুমিল্লা জেলার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা চলছে। এ শাখায় বর্তমানে ৪৯ জন কনস্টেবল, সাতজন সার্জেন্ট ও একজন পিএসআই কর্মরত রয়েছেন।
কনস্টেবলদের মধ্যে দুজন ট্রাফিক শাখার মুন্সী এবং দাউদকান্দি, লাকসাম ও দেবিদ্বার উপজেলায় দায়িত্ব পালন করেন নয়জন। তার ওপর যদি দুই শিফটে চারজন করে আটজন ছুটি কিংবা অসুস্থ থাকেন তাহলে নগরীতে ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল থাকে মাত্র ৩০ জন। তাহলে এক শিফটে নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য থাকেন মাত্র ১৫ জন।
‘জনবল সংকট থাকায় সার্জেন্ট বা উপ-পরিদর্শক হিসেবে যারা রয়েছেন তাদের ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন জায়গা পর্যবেক্ষণ করতে হয়। এ জনবল নিয়ে নগরীর সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো কষ্টকর,’ বলেন তিনি।
এ বিষয়ে সচেতন নাগরিক কমিটি-সনাক কুমিল্লার সভাপতি বদরুল হুদা জেনু বলেন, এত কম জনবল নিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে কুমিল্লা নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সম্ভব না। কুমিল্লায় যে হারে যানবাহন বাড়ছে তাতে গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে প্রতিনিয়ত ট্রাফিক পুলিশ থাকা আবশ্যক। সেটি না হলে দিন দিন নাগরিক ভোগান্তি বেড়েই চলবে।
জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় আরও পুলিশ সদস্য নিয়োগের বিষয়টি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের ব্যাপার। তবে সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য কুমিল্লায় জনবল বাড়াতে হবে। আর শুধু ট্রাফিক ব্যবস্থায় পুলিশ বাড়ালেই হবে না, সাধারণ মানুষকে সচেতনতার পাশাপাশি সড়ক ব্যবস্থাপনারও উন্নয়ন করতে হবে।’