ট্রাফিক
কর্মক্ষেত্র-বাচ্চার স্কুলের কাছে বাসা নেওয়ার পরামর্শ ডিএমপি কমিশনারের
বর্তমানে ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা খুবই বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যাত্রী, চালক, পথচারী থেকে শুরু করে কেউই নিয়ম মানে না।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা খুবই বিশৃঙ্খল অবস্থায় আছে। যারা চলাচল করে তারা নিয়ম মানে না। হকাররা ফুটপাত দখল করে বসে আছে। আবার ফুটপাতে মোটরসাইকেলও উঠাচ্ছেন চালকরা। এই অবস্থায় ট্রাফিক ব্যবস্থা খুবই জটিল হয়ে পড়েছে।
যোগদানের পরপরই তিনি এসব বিষয়ে নজর দিয়েছেন বলে জানান। একই সঙ্গে ট্রাফিকের এই অব্যবস্থাপনা দূর করতে হলে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মামলা নিতে না চাইলে ওসিদের এক মিনিটে বরখাস্ত করা হবে: ডিএমপি কমিশনার
শেখ সাজ্জাত বলেন, ‘ঢাকায় প্রায় দুই কোটি মানুষ। এত ঘনবসতি দুয়েকটা দেশে থাকতে পারে। ৫ আগস্টের পরে যখন পুলিশ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে, তখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়। সবার সহযোগিতায় আমরা সেই অবস্থা কাটিয়ে উঠেছি।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, 'ঢাকায় আমাদের রাস্তা থাকা উচিত ২৫ ভাগ, আছে ৭ ভাগ। বিগত সরকারের আমলে অটোরিকশার অনুমোদন দেওয়া হয়। এগুলো চলতে থাকলে ঢাকা শহরে চলার মতো অবস্থা থাকবে না। আমাদের রাস্তার জায়গা অত্যন্ত সীমিত। তাই এটা বন্ধ করতে হবে। আমরা এখন পর্যন্ত দেড় লাখ অটোরিকশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি।’
যানজট কমাতে কর্মস্থলের আশেপাশে বাসা নেওয়ার পরামর্শ দেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ‘আপনার বাচ্চার স্কুল ও কর্মক্ষেত্রের কাছে বাসা নেওয়ার চেষ্টা করেন। তাহলে গাড়ি ব্যবহার অনেকটা কমে যাবে। সবার সহযোগিতা লাগবে। বাচ্চাসহ তিন-চারজন বা পুরো পরিবারকে একটা মোটরসাইকেলে চলতে দেখা যায়। যেটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, এরকম দেখলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ট্রাফিক ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার অবনতির কথাও তুলে ধরেন তিনি। শেখ সাজ্জাত বলেন, ‘আমার কাছে তথ্য আছে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে গেছে। বিশেষ করে ভোরের দিকে। আমি বলেছি এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমি একটি অভিযোগ বাক্স রাখব। এছাড়া উন্মুক্ত আলোচনা করে সবার পরামর্শ নেব।'
তিনি বলেন, 'আমি ট্রাফিকের প্রতি বেশি জোর দিচ্ছি কারণ, এটা সবচেয়ে ভোগান্তির জায়গা। উত্তরা থেকে মতিঝিল থেকে আসতে তিন ঘণ্টা লাগে। এই অবস্থা দেখলে বিদেশিরা কেন বিনিয়োগ করবে?’
সাজ্জাত আরও বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে ডিএমপি পেশাদারিত্বের বাইরে গিয়ে যে কাজগুলো করেছে, তার জন্য আমি ঢাকাবাসীর কাছে এবং দেশবাসীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। তাদের বিভিন্ন জায়গায় বদলি করে দেওয়া হয়েছে এবং শাস্তির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। আমরা নতুন করে দেশবাসীর সেবার জন্য কাজ শুরু করেছি।'
আরও পড়ুন: ডিএমপি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নিলেন সাজ্জাত আলী
১ সপ্তাহ আগে
ঢাকায় যানজট নিরসনে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে প্রশিক্ষিত শিক্ষার্থীরা
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাফিক পরিচালনার জন্য ৬৫ জন প্রশিক্ষিত শিক্ষার্থীকে নিয়োজিত করা হয়েছে। সোমবার (৪ নভেম্বর) থেকে সকাল ও বিকেল-দুই শিফটে কাজ করছেন তারা।
মূলত শহরের যানজট কমাতে ট্রাফিক পুলিশকে সহায়তা করতেই তারা কাজ করছেন।
পুলিশ জানায়, এর মধ্যে ৩০ জন শিক্ষার্থী সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সকালের শিফটে এবং ৩৫ জন শিক্ষার্থী বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চার ঘণ্টার দায়িত্ব পালন করবেন।
তারা জানান, ৩০ অক্টোবর শ্রম, কর্মসংস্থান এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া গত ঘোষিত বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রাফিক আইন অমান্য করায় ১৫৩৮ মামলা, জরিমানা ৬২ লাখ টাকা: ডিএমপি
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা সকাল ও বিকেলে যানজটের সময় এই দায়িত্ব পালন করবেন এবং খণ্ডকালীন চাকরি হিসেবে এই ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত থাকবেন।
মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ঘোষণা দেওয়ার সময় তিনি ঢাকা শহরের কঠিন ট্রাফিক পরিস্থিতির প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, প্রায় ৭০০ প্রশিক্ষিত শিক্ষার্থী সহায়ক ট্রাফিক পুলিশ হিসেবে যোগদান করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে ৩০০-৪০০ জনকে মোতায়েনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (ডিসি-মিডিয়া) তালেবুর রহমান বলেন, ট্রাফিক আইন বিষয়ে প্রাথমিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থীকে পদায়নের পরিকল্পনা নিয়েছে ডিএমপি।
৪ নভেম্বর ৬৫ জন শিক্ষার্থী তাদের দায়িত্ব পালন শুরু করেছে, অন্যরা পর্যায়ক্রমে যোগদান করবেন।
শিক্ষার্থীরা শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতেযানজট নিরসনের প্রচেষ্টায় ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি পেশাদারভাবে কাজ করবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।
পারিশ্রমিক-সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে ডিসি (মিডিয়া) রহমান বলেন, প্রতিদিন কাজ করা প্রতি শিফটে প্রত্যেক শিক্ষার্থী ৫০০ টাকা করে পাবেন।
গত ৫ আগস্ট শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।
তার পতনের পর দেশজুড়ে বিভিন্ন থানায় ব্যাপক হামলা চালানো হয়, যার ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরাপত্তার কারণে দায়িত্ব থেকে বিরত থাকে।
সড়কে ট্রাফিক কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা ঢাকাসহ অন্যান্য শহরে সড়কে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এগিয়ে আসেন।
১২ আগস্ট থেকে ট্রাফিক পুলিশ তাদের দায়িত্ব পুনরায় শুরু করে। তবে যানজট নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের জড়িত করার বিষয়টি রয়ে গেছে।
গণপরিবহনের অভাব এবং ব্যক্তিগত যানবাহনের দ্রুত, অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধির কারণে ট্র্যাফিকের সঙ্গে রাজধানীর সমস্যাগুলো আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১২১৩ মামলা, ২০ লাখ টাকা জরিমানা
১ মাস আগে
সড়কে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনকালে চাঁদপুরে গাড়িচাপায় শিক্ষার্থী আহত
চাঁদপুরের মতলবে সড়কে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনকালে গাড়িচাপায় সালাউদ্দিন প্রধানীয়া (১৮) নামের এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
সোমবার (১২ আগস্ট) দক্ষিণ উপজেলার মতলব বাইপাস সড়কের পানির ট্যাংকি মোড় এলাকায় এই দুঘর্টনা ঘটে।
আরও পড়ুন: গাজীপুর কারাগারে বিদ্রোহের চেষ্টা, গোলাগুলিতে ২২ বন্দি আহত
আহত শিক্ষার্থী সালাউদ্দিন প্রধানীয়া উপজেলার ঢাকিরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা এবং মতলব সরকারি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীরা জানান, তারা কয়েকজন মিলে মতলব বাইপাস সড়কের পানির ট্যাংকি মোড়ে যানযাহন নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনকালে গাড়িচাপায় সালাউদ্দিন প্রধানীয়ার বাম পায়ের হাঁড় ভেঙে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: মতিঝিলে ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে গোলাগুলি, আহত ৫
ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত
৪ মাস আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে রাস্তার ট্রাফিকের দায়িত্বে শিক্ষার্থীরা
ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা যারা হেলমেট না পরে মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন তাদেরও সচেতন করছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) সকাল থেকেই শহরের চৌরাস্তা, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, আমতলা মোড়, আর্ট গ্যালারি মোড়, ঠাকুরগাঁও রোডসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় তাদের।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনে শিক্ষার্থীরা
শহরের চৌরাস্তায় গিয়ে দেখা যায়, মুখে বাঁশি, মাথায় ছাতা নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।
সব সময় চৌরাস্তায় যানযট লেগে থাকলেও শিক্ষার্থীদের কথা শুনছেন সাধারণ মানুষজন। এ কারণে চৌরাস্তাসহ গুরুত্বপুর্ণ স্থানগুলোতে তেমন কোনো রকম যানজট দেখা যায়নি।
অটোরিকশা চালক মো. আরমান আলী বলেন, ‘শির্ক্ষার্থীদের আমরাও সহযোগিতা করছি। তাদের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।’
এ স্বেচ্ছাসেব কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে- আনসার সদস্যরা, ইসলামি ছাত্র আন্দোলন ও নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠন।
আরও পড়ুন: শেরপুর শহর পরিষ্কার করতে রাস্তায় শিক্ষার্থীরা
ঝিনাইদহে শহর পরিষ্কার করতে রাস্তায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
৪ মাস আগে
কেসিসি নির্বাচন: ট্রাফিকের চেকপোস্টে ৯০ লাখ টাকা জরিমানা
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচন উপলক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনায় ট্রাফিক পুলিশ একাধিক চেকপোস্ট স্থাপন করেছে।
নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে মোটরযানের ওপর ৯০ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: এক কাউন্সিলর প্রার্থীকে শোকজ, ২ প্রার্থীকে জরিমানা
বুধবার (৭ জুন) নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
খুলনা মেট্রোপলিট্রন পুলিশ থেকে ইসিতে পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, সড়ক পরিবহন আইন- ২০১৮ অনুযায়ী গত ১ মে থেকে ৬ জুন পর্যন্ত এই জরিমানা আদায় করা হয়। ১১২টি চেকপোস্টের মাধ্যমে ৫ হাজার ৪৪০টি মামলা হয় আর আটক করা হয় ১ হাজার ৯২৮টি যানবাহন। এতে জরিমানা ধার্য করা হয়েছে ৮৯ লাখ ৭৬ হাজার ৮০০ টাকা। এর মধ্যে জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৮০ লাখ ৯৪ হাজার ৯০০ টাকা।
আগামী ১২ জুন খুলনা সিটিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হবে। এছাড়া ভোটের মাঠে ৩১টি ওয়ার্ডে ১৩৪ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ১০টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ৩৯ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আর সাধারণ দুটি ওয়ার্ড ১৩ ও ২৪ নম্বরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দুই জন কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন।
এই সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা), জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা) এবং জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন (গোলাপ ফুল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ: ‘সময় নষ্ট করায়’ রিটকারীকে লাখ টাকা জরিমানা
বায়ু দূষণের দায়ে রাজধানীতে ৭ যানবাহনকে ২২ হাজার টাকা জরিমানা
১ বছর আগে
আখেরি মোনাজাতকে ঘিরে ট্রাফিক ব্যবস্থা ঢেলে সাজিয়েছে জিএমপি
বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতকে ঘিরে শনিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে মোনাজাত শেষ হওয়া পর্যন্ত কয়েকটি সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
শনিবার গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম ইজতেমা ময়দানের পাশে অবস্থিত পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আখেরি মোনাজাতে দূর-দূরান্ত থেকে অনেক লোক অংশগ্রহণ করবেন। সেজন্য ট্রাফিক ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে। এর অংশ হিসেবে রাত ১২টার পর থেকে কয়েকটি সড়ক বন্ধ রাখা হবে।
সড়কগুলো হলো, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে ভোগড়া বাইপাস পর্যন্ত, খামারপাড়া রোড, আশুলিয়া সড়কে আব্দুল্লাহপুর থেকে বাইপাইল পর্যন্ত।
যানজট এড়াতে বাইপাস সড়ক ব্যবহারের জন্য চলাচলকারীদের অনুরোধ জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমায় এ পর্যন্ত ৭ জন মারা গেছেন
বিশ্ব ইজতেমা: ২য় দিনে লাখো মুসল্লির ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনিতে মুখরিত ইজতেমা মাঠ
১ বছর আগে
বাস চালককে মারধর, বরিশালে ট্রাফিক সার্জেন্ট ক্লোজড
বরিশালের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদে বাস পার্কিং করা নিয়ে বিতণ্ডায় এক চালককে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে ট্রাফিক সার্জেন্ট মো.টুটুলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ওই সার্জেন্টকে ক্লোজড করে বরিশাল পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে। এর পরপরই বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা ধর্মঘটের হুশিয়ারি দিলে রাতে সার্জেন্ট টুটুলকে ক্লোজড করা হয়।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার তানভীর আরাফাত বলেন, ‘আমাদের সচিব মহোদয় আসছিলেন বরিশালে। তখন রাস্তা ক্লিয়ার করতে সার্জেন্ট টুটুল বাসগুলো দ্রুত সরানোর কাজ করছিলো। এর মধ্যে একটি বাস লাঠি দিয়ে সরানোর সময় ওই বাসের ড্রাইভারের হাতে লাঠির আঘাত লাগে। এই নিয়ে শ্রমিকরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে পরে। পরবর্তীতে সার্জেন্ট টুটুলকে ক্লোজড করা হয়। শ্রমিকরা লিখিত অভিযোগ নিয়ে আসলে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুন: স্ত্রী নির্যাতন মামলা: চট্টগ্রামে সার্জেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বরিশাল জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ হোসেন বলেন, সার্জেন্ট টুটুল আমাদের এক শ্রমিককে অহেতুক মারধর করে রক্তাক্ত করেছে। আরফি পরিবহনের চালক আলী হোসেনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে শের-ই -বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে। আমরা হুশিয়ারি দিয়েছি সার্জেন্ট টুটুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।
তিনি বলেন, সার্জেন্ট টুটুল বিভিন্ন সময় বাস চালকদের হয়রানি করে আসছিলো। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একাধিকবার জানিয়েছি।
আরও পড়ুন: ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত, বরিশালে দুই পুলিশ সার্জেন্ট ক্লোজড
রাজশাহীতে তল্লাশিচৌকিতে ট্রাফিক সার্জেন্টকে পিটিয়ে রক্তাক্ত
২ বছর আগে
রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশ নিহত
রাজধানীর উত্তরায় রবিবার ভোরে একটি লরি চাপায় একজন ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত কাজী মাসুদ (৩৮) বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার কাজী হেমায়েত উদ্দিনের ছেলে। তিনি ট্রাফিক উত্তরা পূর্ব জোন, উত্তরা বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন:রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রী নিহত
উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইয়াসিন গাজী জানান, ভোর ৪টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের আবদুল্লাহপুরে রাত্রিকালীন ডিউটি করার মাসুদকে দ্রুতগামী একটি লরি চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:রাজধানীতে বাস মালিকদের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে যাত্রীদের দুর্ভোগ
২ বছর আগে
মাঝ আকাশে হৃদরোগে আক্রান্ত পাইলট, নাগপুরে বিমানের জরুরি অবতরণ
মাঝ আকাশে পাইলট হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশের একটি যাত্রীবাহী ফ্লাইট শুক্রবার ভারতের নাগপুরে জরুরি অবতরণ করেছে। বোয়িং ৭৩৭-৮ বিমানটি মাস্কাট থেকে ১২৬ জন যাত্রী নিয়ে রওনা দিয়েছিল।
বিমান পরিবহনের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুরের কাছাকাছি থাকাকালীন বিমানটির সহ-পাইলট জরুরি অবতরণের জন্য পূর্ব শহর কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: কাবুলে ইউক্রেনের বিমান ছিনতাই
কলকাতা এটিসি সহ-পাইলটকে কাছের বিমানবন্দরে অবতরণ করতে বললে বেলা ১১.৪০টার দিকে যাত্রীবাহী বিমানটি মহারাষ্ট্রের নাগপুর বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।
অবতরণের পর পাইলটকে দ্রুত কাছের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: দেশ ছাড়ছে আফগানরা, বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খলা
৩ বছর আগে
খুলনা মহানগরীর ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি ব্যবস্থা অকার্যকর
খুলনা মহানগরীর সকল ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে। এসব ট্রাফিক সিগন্যাল বাতির সংকেত সম্পর্কে অধিকাংশ নাগরিক অবগত রয়েছেন।
খুলনায় পুরাতন এ সব ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি নব্বই দশকেরও আগে মহানগরীতে স্থপনা করা হয়। বর্তমানে সববাতি অকার্যকর ও জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
তাছাড়া দেখা যায়, মহানগরীর শিববাড়ী মোড় ও পাওয়ার হাউস মোড়ে দু’টি ট্রাফিক সংকেত বাতি দায়সারাভাবে চালু আছে। কিছুদিন পরপর তা অকার্যকর অবস্থায় পড়ে থাকছে।
খুলনা সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনা রোধের পাশাপাশি যানজট নিরসনে ১৯৮৭ সালের দিকে মহানগরের ১৬টি মোড়ে ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি স্থাপনা করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে দৌলতপুর, নতুন রাস্তা, জোড়াগেট, শিববাড়ী মোড়, ডাকবাংলো, পাওয়ার হাউস মোড়, রয়্যাল মোড়, পিকচার প্যালেস, সদর থানা, পিটিআই, ধর্মসভা, ময়লাপোতা ও ফেরিঘাট মোড়, সদর হাসপাতালের সামনে, সার্কিট হাউসের পাশে, হাজী মুহসীন সড়ক।
আরও পড়ুন: ট্রাফিক সিগন্যাল অব্যবস্থাপনার প্রতিবেদন চেয়েছে হাইকোর্ট
তবে এর মধ্যে ২০০৫ সালের মধ্যে সবকটি বাতি অকার্যকর হয়ে যায়। বাতিগুলো মেরামতের উপযোগী না থাকায় কেসিসি নতুন করে আর কোনো উদ্যোগ নেয়নি। মূলত এ সব ট্রাফিক সিগন্যাল হলুদ, সবুজ, রঙের বাতি জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। এতে করে দ্বায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে বেশ বেগ পেতে হয়। মাঝে মধ্যে রাতের বেলায় ইলেকট্রনিক সিগন্যাল লাঠি ব্যাবহার করতে দেখলেও বেশির ভাগ সময়ে হাতে লাঠি আর বাশি নিয়ে যানজট নিরসনের দায়িত্বে দেখা যায় এসব ট্রাফিক সদস্যদের। এতে করে নগরীতে বাড়ছে দুর্ঘটনা, বাড়ছে পথচারি ও যানবহনের ঝুকিঁ।
খুলনা শিববাড়ী মোড় এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য বলেন, ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি সব বিকল অবস্থায় রয়েছে, আমরা বাশি, লাঠি ও মাঝের মধ্যে ইলেকট্রনিক সিগন্যাল লাঠি ব্যবহার ও হাতের ইশারায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করছি। অনেক সময়ে আমাদের নিজেদের ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে, তারপরও দ্বায়িত্ব পালন করতে হয়। তবে ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি সচল হলে যানজট নিরসনের জন্য দায়িত্ব পালন অনেকটা সহজ ও অনেক দুর্ঘটনার থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে সড়কের বেহাল দশায় চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী
মহানগরীর মাহেন্দ্র চালক আজমির মোল্লা বলেন, দেশ এখন আধুনিক হচ্ছে। তবে খুলনায় ট্রাফিক সংকেত বাতি এখনও পুরাতন, নষ্ট জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। তাছাড়া অনেক সময়ে গাড়ি নিয়ে সড়কে চলাচলের সময়ে ট্রাফিক পুলিশের হাতের সিগন্যাল চোখে পড়েনা। যে কারণে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বিশেষ করে রাতের বেলায় তো চোখেই পড়ে না। দ্রুত এ সব বাতি মেরামত করা বা নতুন করে ট্রাফিক বাতি স্থাপন করার জন্য জোর দাবি জানান তিনি।
খুলনা সিটি কর্পেরেশনের প্যানেল মেয়র-১ আমিনুল ইসলাম (মুন্না) বলেন, ‘ট্রাফিক সংকেত বাতি বিকল আছে, আমি নিজেও বিষয়টি লক্ষ্য করেছি। তাছাড়া এতে করে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করতে সমস্যা হচ্ছে। মেয়রের সাথে এ বিষয়ে কথা বলে দ্রুত একটি কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের ডিসি মোহাম্মাদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘খুলনা একটি সুন্দর ও আধুনিক শহর। অথচ ট্রাফিক সংকেত বাতি এখনও জড়াজীর্ণ। অনেক সময়ে আমাদের পুলিশ সদস্যরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলন্ত গাড়ির সামনে দাড়িয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছে। তাছাড়া আমরা বেশ কয়েকবার খুলনা সিটি কর্পেরেশনকে চিঠি দিয়েছি। তবে এখনও কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। দ্রুত এসব ট্রাফিক সংকেত বাতি সংস্কার বা নতুন বাতি স্থাপন করার জন্য অনুরোধ করছি।’
৩ বছর আগে