সূত্র জানায়, প্রবাসে থাকাকালীন ঝুঁকিপূর্ণ যৌন সম্পর্ক বিষয়ে যথাযথ জ্ঞান না থাকা ও বিদেশ যাওয়ার আগে এ বিষয়ে পর্যাপ্ত কাউন্সিলিং না হওয়ায় এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। দেশে আসার পর তাদের কাছ থেকে স্ত্রীদের মধ্যেও এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে।
সিলেট বিভাগে এইচআইভি আক্রান্তদের নিয়ে বেসরকারি সংস্থা আশার আলো সোসাইটি ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এআরটি সেন্টার কাজ করছে।
প্রতিষ্ঠান দুটির তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত বিভাগে ৯৫১ জন এইডস রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিদের মধ্যে ৫০১ জন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের এআরটি সেন্টার হতে নিয়মিত সেবা নিচ্ছেন।
২০১৮ সালের নভেম্বরে বিভাগে এইডস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৫৩৬ জন।
এইচআইভি সংক্রমণ প্রতিরোধ কার্যক্রম (পিএমটিসিটি) প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মো. মোতাহের হোসেন জানান, ২০১৩ সালে সিলেটে এআরটি সেন্টার কাজ শুরু করে। এরপর থেকে এইডস রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ ও চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি এইচআইভি আক্রান্ত মা থেকে শিশুর শরীরে সংক্রমণ প্রতিরোধের মাধ্যমে এইচআইভির নতুন সংক্রমণ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ইউনিসেফের সহায়তায় ওসমানী এবং মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পিএমটিসিটি প্রকল্প চলমান রয়েছে।
এ পর্যন্ত ওসমানী হাসপাতালের সেবার আওতায় ৫৬ জন এইচআইভি আক্রান্ত মা সুস্থ সন্তান জন্ম দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
ওসমানী হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. ইউনুছুর রহমান বলেন, ‘এইচআইভি আক্রান্ত মানুষদের সেবা দিতে চিকিৎসকরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দীর্ঘদিন ধরে এসব মানুষকে সেবা দিয়ে আমাদের চিকিৎসকরা এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সিলেট বিভাগের রোগীরা সারা বছর এ হাসপাতাল থেকে তাদের প্রয়োজনীয় ওষুধসহ অন্যান্য সেবা নিয়ে থাকেন।’