এক টুইটে তারা বলেন, ‘বর্তমানে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের পূর্ণ ডোজ ৬২ শতাংশ কার্যকার। তারা যদি নতুন কোনো ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু করে তবে আমরা টিকার কার্যকারিতা বাড়াতে সমন্বিতভাবে স্পুটনিক ভি হিউম্যান অ্যাডেনোভাইরাল ভেক্টর যুক্ত করার পরামর্শ দিচ্ছি।’
অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পাস্কাল সরিওট জানিয়েছেন, শেষ পর্যায়ের সমীক্ষা থেকে পাওয়া ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন উঠায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা মূল্যায়নে আরও পরীক্ষা চালাতে যাচ্ছেন তারা।
অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল যুক্তরাজ্য ও ব্রাজিলের ২০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর ওপর চালানো হয়। প্রাথমিক ফলাফলে দেখা য়ায় তাতে ভ্যাকসিনের গড় কার্যকারিতা ছিল ৭০ শতাংশ।
ভ্যাকসিনের সমান বড় দুটি ডোজ এক মাসের ব্যবধানে রোগীর শরীরে প্রয়োগ করা হলে করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে এই টিকার সুরক্ষার হার দেখা যায় ৬২ শতাংশ।
সংবাদ সংস্থা তাস তার প্রতিবেদনে বলেছে, প্রথমে একটি ছোট ডোজ নেয়ার পরে এর কার্যকারিতা প্রায় ৯০ শতাংশে উন্নীত হয়েছিল এবং তারপরে দ্বিতীয়বার একটি বড় ডোজ দেয়া হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, কোভিড-১৯ প্রতিরোধে কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরির জন্য বিশ্বে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৭০টি প্রকল্প নিয়েছে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা।
গত ১১ আগস্ট, বিশ্বের প্রথম কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন হিসেবে ‘স্পুটনিক ভি’ নিবন্ধন দেয় রাশিয়া।
রাশিয়ান ডাইরেক্ট ইভেস্টমেন্ট ফান্ড অনুসারে, এ ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৯৫ শতাংশ।