ইউক্রেনের আকাশ সীমায় কোন দেশ ‘নো-ফ্লাই জোন‘ ঘোষণা করলে তা যুদ্ধে যোগদানের শামিল হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
শনিবার রুশ টিভিতে বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি এই হুঁশিয়ারি করেন।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
পুতিন বলেন, কোন দেশ এই লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিলে সেটা এই সশস্ত্র সংঘাতে যোগদান বলে বিবেচনা করা হবে।’
সামরিক দিক থেকে এই নো-ফ্লাই জোন হচ্ছে এমন এলাকা যেখানে হামলা চালানো বা পর্যবেক্ষণের জন্য বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়।
তবে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয় সামরিক পন্থায়-এই আদেশ লঙ্ঘনকারী বিমানকে গুলি করে ভূপাতিত করতে হয়।
এদিকে, দেশজুড়ে নো-ফ্লাই জোন বাস্তবায়নে অস্বীকৃতি জানানোর জন্য ন্যাটো নেতাদের নিন্দা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি।
পড়ুন: এবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুরের নিষেধাজ্ঞা
বিবিসি জানিয়েছে, রাজধানী কিয়েভ থেকে দেয়া এক জ্বালাময়ী বক্তৃতায় ভ্লাদিমির জেলেনস্কি বলেন, পশ্চিমাদের মধ্যস্থতায় অনীহা রাশিয়াকে ইউক্রেনের একের পর এক শহর ও গ্রামে বোমাবর্ষণ চালিয়ে যেতে ‘সবুজ সঙ্কেত’ দিয়েছে।
অন্যদিকে ন্যাটোর যুক্তি হলো, নো-ফ্লাই জোনের ফলে মস্কোর সঙ্গে সংঘর্ষ বাড়বে।
তবে জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি ন্যাটোর এই মতের সঙ্গে একমত নন। সরাসরি পদক্ষেপ ‘ন্যাটোর বিরুদ্ধে সরাসরি রুশ আগ্রাসনকে উস্কে দিতে পারে’ বলে তিনি মনে করেন না।
জেলেনস্কি বলেন, এই যুক্তিটি ‘যারা দুর্বল ও আত্মবিশ্বাসহীন তাদের মনগড়া’। পশ্চিমাদের অবস্থানে বোঝা যায় যে তারা সব দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে ইউরোপের প্রধান লক্ষ্য বলে মনে করে না’।
এর আগে শুক্রবার ন্যাটোর সেক্রেটারি-জেনারেল জেনস স্টলটেনবার্গ সতর্ক করে বলেছেন, নো-ফ্লাই জোন প্রবর্তন ‘ইউরোপের আরও অনেক দেশকে জড়িত করতে পারে এবং অনেক বেশি দুর্ভোগের কারণ হতে পারে।’