একজন সিনিয়র কানাডিয়ান সরকারি কর্মকর্তা এটাকে তাদের ‘কৌশলগত স্থগিত’ বলে বর্ণনা করেছেন।
কানাডিয়ান জেনারেল জেনি কারিগান পরিচালিত কানাডিয়ান ন্যাটো মিশনটি ‘অযুদ্ধ, উপদেষ্টা এবং প্রশিক্ষণ’ বলে জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৫৩ জন কানাডিয়ান ন্যাটোর প্রশিক্ষণ মিশনের স্থগিতাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নেতৃত্বাধীন অপারেশনকে প্রভাবিত করবে না যেখানে ইরাক, কুয়েত, জর্ডান এবং লেবাননে প্রশিক্ষক এবং পরামর্শদাতা হিসাবে প্রায় ৬০০ সেনা কর্মকর্তা রয়েছে।
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রান্সোয়েস-ফিলিপ চ্যাম্পে শুক্রবার বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিকটবর্তী মার্কিন বিমান হামলায় ইরানের ইসলামিক বিপ্লব গার্ড কুদস ফোর্সের কমান্ডার ইরানি মেজর জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা করার পরে সকল পক্ষকে সংযম থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে কানাডিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কানাডা আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে যোগাযোগ করছে। আমাদের সেনা ও কূটনীতিকরাসহ ইরাক ও এই অঞ্চলে কানাডিয়ানদের সুরক্ষা এবং সুস্বাস্থ্য আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আমরা সব পক্ষকে সংযম বজায় রাখতে এবং অচলাবস্থা অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য হলো ঐক্যবদ্ধ ও স্থিতিশীল ইরাক।’
শুক্রবারের হামলার পর কানাডাও তাদের নাগরিকদের ভ্রমণ সতর্কতার অংশ হিসেবে ইরাক ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছে।
সতর্ক করে বলা হয়েছে, ‘এই আক্রমণটি ওই অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে।’
এই হামলার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের দ্রুত ইরাক ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি সোলেইমানিকে হত্যার পর একে ‘জঘন্য অপরাধ’ অভিহিত করে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিশোধ নেয়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন।