তাদের মতে, অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ কেমন হতে পারে সেটি নির্ভর করছে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কীভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে তার ওপর, যা এখনও অনিশ্চিত।
এডিবির বিশ্লেষণ অনুযায়ী, করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী ৭৭ থেকে ৩৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আর্থিক ক্ষতি হতে পারে, যা বিশ্বব্যাপী মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ০.১ শতাংশ থেকে ০.৪ শতাংশ।
মাঝারি পরিস্থিতি অনুযায়ী, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন দেশে যেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, এর ফলে বিশ্বব্যাপী আর্থিক লোকসানের পরিমাণ পৌঁছাতে পারে ১৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত, যা বৈশ্বিক জিডিপির ০.২ শতাংশ।
এডিবির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসের কারণে চীনের লোকসানের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১০৩ বিলিয়ন ডলারে, যা দেশটির মোট জিডিপির ০.৮ শতাংশ। এছাড়া এশিয়ার অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের লোকসান হতে পারে ২২ বিলিয়ন ডলার বা জিডিপির ০.২ শতাংশ।
অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার পাশাপাশি কোভিড-১৯ নিয়ে আরও বেশকিছু অনিশ্চয়তা রয়েছে উল্লেখ করে এডিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ ইয়াস্যুকি সোয়াদা জানান, ‘সম্ভাব্য ক্ষতি নির্ণয় করার জন্য একাধিক পরিস্থিতি বিবেচনা করা প্রয়োজন। করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে এর মানবিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব প্রশমিত করার জন্য সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের এ বিশ্লেষণ সহায়তা করবে বলে আশা করি।’