দেশটিতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো রেকর্ড সংখ্যক করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পরই নতুন পদক্ষেপ গ্রহণের ঘোষণা দেয়া হয়।
রবিবার ইতালিতে নতুন আরও ১১ হাজার ৭০৫ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হন। এর আগে শনিবার শনাক্ত হয় ১০ হাজার ৯২৫ জন।
মহামারি শুরু হওয়ার পর করোনায় ইউরোপের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ছিল ইতালি। এখন পর্যন্ত দেশটিতে ৪ লাখ ১৪ হাজারের বেশি করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং মৃতের সংখ্যা সাড়ে ৩৬ হাজার।
সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ ক্রমবর্ধমান হওয়ায় করোনাভাইরাস সম্পর্কে বিধিনিষেধ জোরদার করেছে আরও বেশ কয়েকটি দেশ।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রায় ৪ কোটি
যুক্তরাজ্যের জনস্বাস্থ্য বিভাগের মতে, দেশটিতে কমপক্ষে ৭ লাখ ২২ হাজার ৪০০ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মারা গেছেন ৪৩ হাজার ৬৪৬ জন।
ফ্রান্সে শনিবার নতুন করে ৩২ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং রবিবারও এ সংখ্যা ৩০ হাজারের কাছে ছিল।
সংক্রমণের হার বাড়ায় সোমবার থেকে বিভিন্ন বিধিনিষেধ জোরদার করা হয়েছে সুইজারল্যান্ডে।
রবিবার চেক প্রজাতন্ত্র জানিয়েছে, আবারও পুরোপুরি লকডাউন জারি করা প্রয়োজন কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে তারা আরও দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করবে। ইউরোপের মধ্যে বর্তমানে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি এ দেশে এবং বন্ধ রয়েছে সেখানকার বেশির ভাগ সেবা খাত।
আরও পড়ুন: করোনায় ৩ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন দৈনিক মৃত্যু দেখল ভারত
সোমবার থেকে কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করতে চলেছে আয়ারল্যান্ড। দেশটির একজন মন্ত্রী জানান, কোভিড সংক্রমণ রোধে স্থানীয় নীতি পর্যাপ্ত ছিল না এবং মন্ত্রিসভা এবার ‘লেভেল ফোর’ পদ্ধতির দিকে নজর দিচ্ছে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি। এটি চালু হলে সব অপ্রয়োজনীয় ব্যবসা বন্ধ থাকবে।
জার্মানিতে শনিবার দৈনিক নতুন সংক্রমণের হারে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে এবং চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেল জনগণকে বাড়িতে থাকার এবং যতটা সম্ভব ভ্রমণ এড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বিধিনিষেধ কঠোর করার ঈঙ্গিত দিয়েছেন নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট।