জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ২৭ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার ৬৮৪ জনের। তাদের পর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। শুক্রবার পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১৫ লাখ মানুষ এবং মারা গেছেন ৬১ হাজার ৮৮৪ জন।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬ লাখ ৬০ হাজার ২৩১ জনে। এ তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৪ হাজার ৬৪১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৭ হাজার ৮৩৪ জনের।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি:
করোনাভাইরাস মহামরিতে আক্রান্ত হয়ে দেশে মারা গেছেন আরও ৩৮ জন। সেই সাথে ৪ হাজার ১৯ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা বৃহস্পতিবার এসব তথ্য জানান।
তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ৭০টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৭ হাজার ৯৪৭টি। পরীক্ষা করা হয়েছে আগের নমুনাসহ ১৮ হাজার ৩৬২টি। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৮ লাখ ২ হাজার ৬৯৭টি।
দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন এক লাখ ৬৩ হাজার ২৭৭ জন। আর মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২৬ জনে।
পরীক্ষা বিবেচনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২১.৮৯ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯.১০ শতাংশ। আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.২৬ শতাংশ।
নতুন মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৩২ এবং নারী ছয়জন।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৪ হাজার ৩৩৪ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থতার মোট হার ৪৩.৩৫ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।