ফয়সাল সুলতান টুইটারে জানান, প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন এবং তিনি বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন।
তবে তিনি খানের শারীরিক অবস্থার বিস্তারিত জানাননি।
ইমরান খান গত বৃহস্পতিবার চীনের তৈরি সিনোফার্ম ভ্যাকসিন নিয়েছেন।
পাকিস্তানে বর্তমানে করোনার তৃতীয় ঢেউ চলছে। দেশটিতে এ পর্যন্ত ৬ লাখ ২৩ হাজার ১৩৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ১৩ হাজার ৭৯৯ জন।
দেশটিতে চলতি মাসের শুরু থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। যুক্তরাজ্যের করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের কারণে এই ঢেউ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
শুক্রবার একদিনে ৩ হাজার ৮৭৬ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যা গত বছরের ২ জুলাইয়ের পর একদিনে সর্বোচ্চ। এছাড়া আরও ৪২ জন মারা গেছেন।
অন্যান্য দেশের তুলনায় খানের সরকার তুলনামূলকভাবে ভালোভাবে করোনা মহামারি মোকাবিলা করছে। দেশটিতে মৃত্যু ও শনাক্তের হার কম। এছাড়া অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হাত থেকেও দেশটিকে রক্ষা করছে সরকার।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সরকার কোভিড-১৯ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে এবং স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড ফের শুরু করে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় প্রাণ গেল আরও ২৬ জনের
বাংলাদেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন স্থগিতের কোনো পরিকল্পনা নেই: স্বাস্থ্য সচিব
চিকিৎসকদের প্রতিনিধিত্বকারী শীর্ষস্থানীয় সংস্থা পাকিস্তান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন ওই সময়ে সরকারকে ‘তড়িঘড়ি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে’ সতর্ক করেছিল এবং বলেছিল এই সিদ্ধান্ত ‘আমাদের কোভিড ১৯ পুনরুত্থানের দিকে নিয়ে যেতে পারে’।
হঠাৎ করে নতুন সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা শিথিলের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে দেশটির সরকার। রেস্তোরাঁ, থিয়েটার এবং বিবাহ কেন্দ্রগুলোতে ফের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এছাড়া গত ১৫ মার্চ থেকে স্কুলগুলো ফের দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ করোনার নতুন ঢেউ দেখতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের