এছাড়া, প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮৬ লাখ ৩৯ হাজার ২৩ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে শনিবার পর্যন্ত ২২ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৯ জনের।
যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ব্রাজিলে। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় ৪৮ হাজার ৬৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, শনিবার পর্যন্ত রাশিয়া ও ভারত যথাক্রমে ৫ লাখ ৬৮ হাজার ২৯২ জন এবং ৩ লাখ ৮০ হাজার ৫৩২ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
এদিকে চীনা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ শনিবার জানিয়েছে, শুক্রবার চীনের মূল ভূখণ্ডে নতুন করে আরও ২৭ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ২৩ জন স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হয়েছেন। তবে দেশটিতে নতুন করে কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি:
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দেশে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরও তিন হাজার ২৪৩ জনের শরীরে মহামারি করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে এবং মৃত্যুবরণ করেছেন আরও ৪৫ জন।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ পাঁচ হাজার ৫৩৫ জন। সেই সাথে মারা গেছেন মোট এক হাজার ৩৮৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৪৫ জনের মধ্যে পুরুষ ৩২ এবং নারী ১৩ জন। মোট আক্রান্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৩২ শতাংশ। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৪৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এছাড়া করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও দুই হাজার ৭৮১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ৯৪৫ জন।