যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির (জেএইচইউ) সেন্টার ফর সিস্টেম সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত কোভিড-১৯-এ মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৬৪ লাখ ২৯ হাজার ৪৫৩ জন।
জেএইচইউর দেয়া তথ্যে দেখা যায়, ব্রাজিলে ৫ লাখ ৮৪ হাজার ১৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। দক্ষিণ আমেরিকার এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে ৩২ হাজার ৫৪৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত এবং মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। দেশটিতে এ পর্যন্ত এক লাখ ৭ হাজার ১৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১৮ লাখ ৫১ হাজার ৫৩০ জন আক্রান্ত হওয়ার রেকর্ড রয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র নিউইয়র্কেই এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার ১৯ জন মারা গেছেন।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যানুসারে, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাজ্যে ৩৯ হাজার ৮১১ জন। এছাড়া, ইতালিতে ৩৩ হাজার ৬০১ জন, ফ্রান্সে ২৯ হাজার ২৪ জন এবং স্পেনে ২৭ হাজার ১২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চীন এবং নিউজিল্যান্ডের মতো কয়েকটি দেশের অবস্থা দেখে মনে করা হচ্ছে এ মহামারি তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। সেই সাথে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে লকডাউন তুলে নেয়ার দিকে এগোচ্ছে।
গত বছরে ডিসেম্বরে চীনে প্রথম সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
গত ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগীর খোঁজ মেলার ১০ দিনের মাথায় প্রথম মৃত্যুর তথ্য আসে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নতুন করে আক্রান্ত ও মৃত্যু উভয়ই অনেক বাড়তির দিকে রয়েছে।
দেশে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৭ জন মারা গেছেন বলে বুধবার জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় আরও ২ হাজার ৬৯৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৭৪৬ জনে দাঁড়াল। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫ হাজার ১৪৬ জনে।
মোট আক্রান্তে মধ্যে নতুন করে ৪৭০ জন করোনা থেকে সুস্থ হওয়ায় মোট সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৫৯০ জন।