কোভিড টিকাদান কর্মসূচির কারণে প্রথম বছর (২০২১ সালে) বিশ্বব্যাপী প্রায় ২০ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু এড়ানো গেছে বলে বৃহিস্পতিবার এক গবেষণায় বলা হয়েছে। তবে টিকাদান কর্মসূচি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী পৌঁছানো গেলে আরও বেশি মৃত্যু এড়ানো যেত বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যে মার্গারেট কিনান বিশ্বে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে করোনার টিকা নেন। পরবর্তী ১২ মাসে বিশ্বজুড়ে ৪ দশমিক ৩ বিলিয়নেরও বেশি মানুষ টিকার ডোজ নিয়েছেন।
নতুন মডেলিং গবেষণার নেতৃত্ব দেয়া ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের অলিভার ওয়াটসন বলেছেন, এই প্রচেষ্টা যদিও অব্যাহত বৈষম্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে, তবে এটি অকল্পনীয় মাত্রায় মৃত্যু রোধ করেছে।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় টিকা না পাওয়া গেলে ফলাফল সম্পর্কে ওয়াটসন বলেন, ‘বিপর্যয়ই হতো প্রথম শব্দ যা মনে আসে। গবেষণার এই ফলাফলগুলো প্রমাণ করে আমাদের কাছে ভ্যাকসিন না থাকলে মহামারিটি কতটা খারাপ হতে পারত।’
গবেষকরা ১৮৫টি দেশের তথ্য ব্যবহার করে অনুমান করেছেন, টিকাদান কর্মর্সূচির ফলে ভারতে ৪ দশমিক ২ মিলিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক দশমিক ৯ মিলিয়ন, ব্রাজিলে এ মিলিয়ন, ফ্রান্সে ৬ লাখ ৩১ হাজার এবং যুক্তরাজ্যে ৫ লাখ ৭ হাজার জনের মৃত্যু এড়ানো গেছে।
দ্য ল্যানসেট সংক্রামক রোগ জার্নালে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, ২০২১ সালের শেষ নাগাদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৪০ শতাংশ টিকা কভারেজের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা হলে অতিরিক্ত ৬ লাখ মৃত্যু এড়ানো যেত।
পড়ুন: করোনায় চাকরি হারিয়েছেন পাঁচ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি প্রবাসী: মন্ত্রী
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে করোনায় শনাক্ত বেড়েছে