তারা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রাজিলের পরীক্ষার অন্তর্বর্তীকালীন বিশ্লেষণে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা তৈরির ভ্যাকসিনটিতে এ ফলাফল দেখা গেছে। এই ভ্যাকসিনটি যাদের শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে তাদের কারোরই কোনো হাসপাতালে ভর্তি বা কোভিড-১৯ পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এ পরীক্ষা প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা অধ্যাপক অ্যান্ড্রু পোলার্ড বলেছেন, ‘এই পরীক্ষাই প্রমাণ করে আমাদের হাতে একটি কার্যকর ভ্যাকসিন রয়েছে যা অনেকের জীবন বাঁচাতে পারে। এর মধ্যে আমাদের এক ডোজ ভ্যাকসিন প্রায় ৯০ ভাগ পর্যন্ত কার্যকর হতে পারে।’
ট্রায়ালে দুটি ভিন্ন ধরনের ডোজ ব্যবহার করা হয়েছে। ভ্যাকসিনের অর্ধেক ডোজ এবং তারপরে কমপক্ষে এক মাসের ব্যবধানে দেয়া বাকি ডোজটি ৯০ ভাগ কার্যকর ছিল। দ্বিতীয় পরীক্ষায় এক মাসের ব্যবধানে দেয়া দুটি সম্পূর্ণ ডোজ ব্যবহারের ক্ষেত্রে ৬২ ভাগ কার্যকর ছিল। দুটির সম্মিলিত ফলাফলে ভ্যাকসিনটির ৭০ ভাগ কার্যকারিতা লক্ষ্য করা গেছে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পাসকেল সরিওট বলেন, ‘এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ও সুরক্ষা এটা নিশ্চিত করে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় এটি অত্যন্ত কার্যকর হবে। যা জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার উপর তাত্ক্ষণিক প্রভাব ফেলবে।’
এর আগে, ফাইজার এবং মর্ডানা নামে দুই ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান গত সপ্তাহে তাদের ভ্যাকসিন পরীক্ষার প্রাথমিক ফলাফলের কথা জানিয়েছে। তাদের উদ্ভাবিত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনগুলো প্রায় ৯৫ ভাগ কার্যকর ছিল বলে জানিয়েছে।