এদিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যাওয়া করোনাভাইরাসে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৫৬৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
জাপান এবং হংকংয়ের জাহাজগুলোর এই অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।
টোকিওর ঠিক বাইরের বন্দর নগরী ইয়োকোহামায় স্বাস্থ্যকর্মীরা বলছেন, বন্দরে কোয়ারেন্টাইনে রাখা সেই প্রমোদতরীতে এখন পর্যন্ত ১০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। সর্বশেষ সংক্রমণের মধ্যে চারজন জাপানি, দুজন আমেরিকান, দুজন কানাডিয়ান, একজন নিউজিল্যান্ডের এবং একজন তাইওয়ানীয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ এখনও প্রমোদতরীর সব যাত্রীকে পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। মাত্র ৩০০ জনকে পরীক্ষা করা হয়েছে। ১০ জনকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাহাজে থাকা ৩ হাজার ৭০০ জন লোক তাদের কেবিনগুলোতে দু'সপ্তাহের পৃথকীকরণের মুখোমুখি হয়েছিল। জাহাজটিতে ২ হাজার ৬৬৬ যাত্রী এবং ১ হাজার ৪৫ জন ক্রু সদস্য ছিল। হংকংয়ে জাহাজ ছেড়ে যাওয়ার পরে ভাইরাসজনিত রোগ নির্ণয় করা এমন ব্যক্তির সাথে আরও লক্ষণ রয়েছে যাদের সাথে যোগাযোগ ছিল তাদের ১৭১ জন পর্যবেক্ষণে রয়েছে।
হংকংয়ের জাহাজে ৩ হাজার ৬০০ জন আরোহীকেও পূর্বের সমুদ্রযাত্রায় থাকা তিন যাত্রী ভাইরাস শনাক্ত করার পরেও তাদের স্ক্রিনিং করা হয়েছে।
বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাডানোম গ্রেবিয়াসিস এই ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় দেশগুলোকে সহায়তার জন্য ৬৭৫ মিলিয়ন ডলার চেয়েছেন। এই পরিমাণটি অনেক বেশি বলে তিনি স্বীকার করেন।
বৃহস্পতিবার সর্বশেষ তথ্যানুসারে, নতুন ৩ হাজার ৬৯৪ জনসহ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজার ১৮ জন।
চীনের বাইরে কমপক্ষে ২৪০ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে, যার মধ্যে দুজনের প্রাণহানির ঘটনা রয়েছে, একটি হংকং এবং অন্যটি ফিলিপাইনে।