নতুন ভাইরাসের নিশ্চিত শিকার হওয়া মানুষের সংখ্যা ৫ হাজার ৯৭৪ জনে পৌঁছেছে। অন্যদিকে, ২০০২-০৩ সালে সার্সের প্রদুর্ভাবের সময় চীনের মূল ভূখণ্ডে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫ হাজার ৩২৭ জন।
তবে জীবন কেড়ে নেয়ার ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস এখনও পিছিয়ে রয়েছে। নতুন এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩২ জনে দাঁড়িয়েছে। আর সার্সের কারণে চীনে মারা গিয়েছিল ৩৪৮ জন।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, নতুন ভাইরাসটি সম্পর্কে এখনও অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া বাকি। যার মধ্যে রয়েছে এটি কীভাবে ছড়ায় এবং তা কতটুকু গুরুতর।
চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে নতুন করোনাভাইরাস মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬ জন মারা গেছেন, যার মধ্যে ২৫ জনই ভাইরাসের মূল কেন্দ্র উহানের বাসিন্দা। সেই সাথে অন্যান্য দেশে অর্ধ শতাধিক আক্রান্ত হয়েছেন।
নতুন ভাইরাসটি করোনাভাইরাস পরিবারভুক্ত। এ পরিবারের ভাইরাসের কারণে সাধারণ ঠান্ডা লাগার পাশাপাশি সার্স ও মার্সের মতো গুরুতর অসুস্থতা দেখা দেয়।
ভাইরাসটির উৎস এবং ছড়িয়ে যাওয়ার সম্পূর্ণ পরিধি এখনও অজানা। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে যে এখন পর্যন্ত যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে বেশির ভাগের অসুস্থতাই হালকা ধরনের। আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশ গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন।
চীনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও অন্যদের মতে, মানুষের মাঝে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ দেখা দেয়ার আগেই তার থেকে অন্যদের শরীরে এটি ছড়িয়ে যাচ্ছে। আর তথ্য-উপাত্তে দেখা গেছে এটি চীনের বাইরে ব্যাপকভাবে ছড়ায়নি।
হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরাসবিদ্যার চেয়ারম্যান মালিক পেইরিস বলেন, ‘ছড়িয়ে পড়াটা যদি এভাবেই হয়ে থাকে তাহলে একটি ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে যে কেন চীনে আক্রান্তের সংখ্যা ইতোমধ্যে সার্সকে ছাড়িয়ে গেছে। সার্সের ক্ষেত্রে যদি কোনো সুভাগ্যের বিষয় থেকে থাকে তাহলে সেটা হলো যে লক্ষণ দেখা দেয়ার আগে এটি ছড়িয়ে পড়ে না।’
রোগীর গায়ে লক্ষণ দেখা দেয়ার আগেই যদি নতুন করোনাভাইরাসটি আরেকজনের মাঝে ছড়িয়ে যাওয়ার প্রমাণ মেলে তাহলে এটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।