চীনের পূর্বাঞ্চলীয় উক্সি শহরের একটি কারিগরি স্কুলে শনিবার ছুরিকাঘাতে আটজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও ১৭ জন আহত হয়েছেন বলে জানায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উক্সির ছোট শহর ইক্সিংয়ে উক্সি ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট অব আর্টস অ্যান্ড টেকনোলজিতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানায় ইক্সিং পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই স্কুলের শু নামে ২১ বছর বয়সি এক শিক্ষার্থীকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কর্তৃপক্ষ জানায়, শু পরীক্ষায় ফেল করেছেন।। এছাড়া স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে না পারা এবং তার ইন্টার্নশিপের বেতন পরিশোধ নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন। তারা বলেছেন, শু হতাশ হয়ে সহিংস এ হামলা চালান।
আরও পড়ুন: লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ১১
পশ্চিমা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, যেখানে ভুক্তভোগীরা রাস্তায় পড়ে রয়েছেন এবং পথচারীরা সাহায্য করার চেষ্টা করছেন।
অন্যদিকে, চীনের সামাজিকমিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো, যেমন উয়েবো, শুধু পুলিশের বিবৃতি প্রকাশ করেছে। কিন্তু ঘটনার কোননো ছবি বা ভিডিও নেই।
সংবেদনশীল বা রাজনৈতিক বিষয়বস্তুর ওপর চীনা সরকারের সেন্সরশিপের কারণে এমনটি হতে পারে। এছাড়া, চীনে গুগলসহ পশ্চিমা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং সার্চ ইঞ্জিনগুলোর প্রবেশাধিকার নেই। কারণ গ্রেট ফায়ারওয়াল নামে পরিচিত দেশের কঠোর ইন্টারনেট নিয়মকানুনের ফলে এই প্ল্যাটফর্মগুলো নিষিদ্ধ বা সীমাবদ্ধ থাকে।
এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে চীনে এটি দ্বিতীয় ভয়াবহ আক্রমণ। এর আগে দক্ষিণ চীনের ঝুহাইয়ে একটি ক্রীড়া কেন্দ্রে মানুষের ওপর গাড়ি তুলে দেন এক ব্যক্তি। ওই ঘটনায় ৩৫ জন নিহত এবং ৪৩ জন আহত হন।
অক্টোবর মাসে, এক ব্যক্তি বেইজিংয়ের একটি স্কুলে শিশুদের ছুরিকাঘাত করে পাঁচজনকে আহত করেন। সেপ্টেম্বর মাসে, সাংহাইয়ের একটি সুপারমার্কেটে ছুরিকাঘাতে হামলায় তিনজন নিহত এবং ১৫ জন আহত হন। সাংহাই হামলার সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি আর্থিক বিবাদের কারণে শহরে গিয়ে ওই হামলা চালান বলে বলা হয়েছে খবরে। একই মাসে, এক জাপানি স্কুলছাত্রকে শেনজেনে তার স্কুলে যাওয়ার পথে ছুরি মেরে হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: নেপালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৮