বড় ধরনের বন্যার পর আরও বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা থাকায় দক্ষিণ চীনের কয়েক হাজার মানুষকে নিজেদের বাড়ি থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
দেশটির গুয়াংডং প্রদেশে ক্রমবর্ধমান বন্যা ও ভূমিধসের সম্ভাবনা থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত ও গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে।
প্রতিবেশি জিয়াংসিতে বন্যার কারণে অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি হারিয়েছে।
ভারি বৃষ্টিপাতে শহরের কিছু অংশের রাস্তা ধসে পড়েছে এবং বাড়িঘর, গাড়ি ও ফসল ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।
চীনা কর্তৃপক্ষ রবিবার চলতি বছরে প্রথমবার রেড অ্যালার্ট জারি করেছে। তারা আগামী দিনে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে ২৫৫ জন নিহত
ঝেজিয়াং প্রদেশের প্রত্যন্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্ধারকর্মীরা নৌকায় করে বন্যার্তদের উদ্ধার করে।
চীন প্রায়ই বন্যার সম্মুখীন হয়। দেশটির মধ্য ও দক্ষিণ অঞ্চলে যেখানে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়, সেসব অঞ্চলে প্রায়ই বন্যা হয়। তবে চলতি বছরের বন্যা দেশটির এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা বলে জানা যায়।
এর আগে ১৯৯৮ সালের বন্যায় দেশটিতে দুই হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যায় এবং প্রায় তিন মিলিয়ন মানুষ বাড়িঘর হারায়।
সম্প্রতি চীনা সরকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। তবে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তীব্র গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় বাড়ছে, যার ফলে বন্যাও বেড়েছে। যার ফলে জীবন, ফসল ও ভূগর্ভস্থ পানি হুমকির মুখে পড়েছে।
আরও পড়ুন: আসামে বন্যায় আরও ৮ জনের মৃত্যু, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬২