মঙ্গলবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনকে বিশ্বের দুই পরাশক্তির মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি বেসরকারি সংস্থা আয়োজিত একটি অনলাইন অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে চীনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াং বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন ও করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় ওয়াশিংটন ও বেইজিং একসাথে কাজ করতে পারে।
গত ২০ জানুয়ারি ক্ষমতায় আসা নতুন মার্কিন প্রশাসন চীনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করার সাথে সাথেই এই মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে, এটা ভাবা হচ্ছে যে আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের যে অবনতি হয়েছে তা পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করবে বেইজিং। এই বছর ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে বৃহত্তর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে কাজ করবে তারা।
দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ইয়াং বলেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র একে অপরকে সম্মান করতে হবে।
তিনি বলেন, হংকং, তিব্বত ও জিনজিয়াংয়ের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলকে ঘিরে মানবাধিকার বিষয়ক অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের মাধ্যমে ওয়াশিংটনকে ‘চীনের উন্নয়নে বাধা দেয়ার’ চেষ্টা করা উচিত হবে না।
এসব বিষয়ের একটা সীমারেখা আছে যা অতিক্রম করা উচিত হবে না। যেকোনো ধরনের হস্তক্ষেপের ফলে চীন-মার্কিন সম্পর্ক এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, বলেন তিনি।
সাবেক ট্রাম্প প্রশাসন ‘চীনের বিরুদ্ধে চরম বিভ্রান্তিমূলক নীতি গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে ইয়াং বলেন, এরই মধ্যে ‘পৃথকীকরণ’ এবং ‘নতুন শীতল যুদ্ধ’ প্রচারের মাধ্যমে সিনো-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে।