জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে রবিবার জাপানের নাগরিকরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন এবং এ নির্বাচন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার প্রথম অগ্নিপরীক্ষা। এই নির্বাচনের মাধ্যমে কিশিদাকে প্রমাণ করতে হবে করোনা বিধ্বস্ত অর্থনীতি, দ্রুত বার্ধক্য ও ক্ষয়িষ্ণু জনগণ এবং চীন ও উত্তর কোরিয়া থেকে আসা নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাঁর যথেষ্ট ম্যান্ডেট রয়েছে।
কিশিদার ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) নির্বাচন পূর্ববর্তী থেকে বেশ কয়েকটি আসন হারাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে জুনিয়র জোট অংশীদার কোমিথোর সঙ্গে মিলে দলটির সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় থাকবে।
৪ অক্টোবর এলডিপি’র নেতৃত্বে জয়ী হয়ে ৬৪ বছর বয়সী কিশিদা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন হন।
ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র ১০ দিন পরই দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট জাপানি পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ভেঙে দেন কিশিদা এবং কার্যক্রম শুরুর আগে জনগণের কাছ থেকে ম্যান্ডেট চান বলে এ নির্বাচনের ঘোষণা দেন তিনি।
বিশেজ্ঞরা বলছেন, এলডিপি’র নেতৃত্বে নিম্নকক্ষ ভেঙে দেয়ার ১৭ দিনের ব্যবধানে নির্বাচন হচ্ছে যা গণমাধ্যমে প্রচার নিয়ন্ত্রণ করছে। এবং এটি কিশিদার দলকে বিরোধীদের ওপর সুবিধা দিচ্ছে।
দীর্ঘ মেয়াদে কিশিদার ক্ষমতায় যাওয়ার বিষয়টি এ নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে।
আরও পড়ুন: জাপানে পার্লামেন্ট ভেঙে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা