মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন দক্ষিণ তুরস্ক এবং উত্তর সিরিয়ায় ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ একটি প্রদেশ সফর করেছেন।
রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) একটি হেলিকপ্টারে চড়ে তিনি ওই এলাকাগুলো সফর করেছেন। এসময় তিনি এই অঞ্চলের জন্য আরও ১০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন৷
ইনসিরলিক এয়ার বেসে ব্লিঙ্কেন বলেছেন,‘এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টা হতে যাচ্ছে’ মার্কিন-তুর্কি যৌথভাবে দুর্যোগ সহায়তা বিতরণ করছে। ‘দুর্ভাগ্যবশত অনুসন্ধান এবং উদ্ধার কাজ শেষ হচ্ছে। পুনরুদ্ধার কার্যক্রম চলছে এবং তারপরে একটি ব্যাপক পুনর্নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হবে।
ভূমিকম্পের কয়েকদিন পর দু’টি দেশে ৪৪ হাজারের বেশি মানুষ মারা যাওয়ার পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তুরস্ক এবং সিরিয়ার জন্য ৮৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা ঘোষণা করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল, চিকিৎসা সরবরাহ ও সরঞ্জামও পাঠিয়েছে।
ব্লিঙ্কেনের ঘোষিত অতিরিক্ত সহায়তার মধ্যে রয়েছে জরুরি শরণার্থী ও অভিবাসন তহবিলে ৫০ মিলিয়ন এবং মানবিক সহায়তায় ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
দুই বছর আগে দায়িত্ব নেয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যাটো মিত্র তুরস্কে প্রথম সফর করছেন। ব্লিঙ্কেন জার্মানিতে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগদানের পর রবিবার আদানার কাছে ইনসিরলিক বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছেছেন।
আরও পড়ুন: উত্তর-পশ্চিম তুরস্কে ৫.৯ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত
তিনি তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলুর সঙ্গে হেলিকপ্টার থেকে তুরস্কের হাতায় প্রদেশ সফর করেন। তিনি মার্কিন এবং তুর্কি পরিষেবা কর্মীদের সঙ্গে সঙ্গে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত তুর্কি সামরিক পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
হেলিকপ্টার সফরের পর শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক ‘ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ, ভবনের সংখ্যা, অ্যাপার্টমেন্টের সংখ্যা, ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ির সংখ্যা দেখে বলেন, এটি পুনর্নির্মাণের জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চালাতে যাচ্ছে।
ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘বর্তমানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যাদের প্রয়োজন তাদের সাহায্য পাওয়া, তাদের শীতকালীন সহযোগিতা করা এবং তাদের স্বনির্ভর করা।’ নিকটবর্তী সৈন্যরা সাহায্যের বাক্সগুলো নামাচ্ছে ... আমরা সঙ্গে থাকব, যতক্ষণ না আমরা কাজ শেষ করি।’
মার্কিন বিমান বাহিনীর ৩৯তম এয়ার বেস উইং এর আবাসস্থল ইনসারলিক -এ সাহায্য বিতরণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ লজিস্টিক কেন্দ্র করা হয়েছে। সারা বিশ্ব থেকে সরবরাহগুলো ঘাঁটিতে পাঠানো হয়েছে এবং ট্রাক এবং যে সকল গ্রামে পৌঁছানো কঠিন সে সকল গ্রামের হেলিকপ্টারযোগে তা অভাবীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
ব্লিঙ্কেন সোমবার তুর্কি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় যাবেন। এসময় তিনি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের সঙ্গে একটি বৈঠক করবেন। ভূমিকম্পের প্রভাবের পাশাপাশি, ব্লিঙ্কেন ন্যাটোতে যোগদানের জন্য সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। যা তুরস্ক বিলম্বিত করছে।