এই হামলার জন্য আবারও ইরানকে দায়ী করে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-যুবায়ের বলেন, হামলার জন্য যেসব অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো ইরানের। এই হামলার পূর্ণ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।
রিয়াদে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, তারা মিত্র দেশগুলোর সাথে যোগাযোগ রাখছেন এবং পূর্ণ তদন্ত শেষ করার পর তারা যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। তবে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।
বিবিসির বাংলার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তেল ক্ষেত্রে হামলা চালানো হয়েছে উত্তর দিক থেকে। ইয়েমেনের দিক থেকে এই হামলা চালানো হয়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি। তবে ঠিক কোন জায়গা থেকে হামলা চালানো হয়েছে সেটি সুনির্দিষ্টভাবে বলেননি সৌদি আরবের এই মন্ত্রী।
এদিকে সৌদি আরবে হামলার কথা বারবারই অস্বীকার করেছে ইরান।
নিরাপত্তা জোরদার করতে সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্র আরও সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম পাঠাবে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর পেন্টাগন।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সৌদি আরবে বাড়তি সৈন্য পাঠানোর ঘোষণার পর ইরানের এক সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, যে কোন ধরনের আগ্রাসন ধ্বংস করার জন্য ইরান প্রস্তুত আছে।
সৌদি কোম্পানি আরামকোর পরিশোধনাগারে হামলার দায় স্বীকার করে ইরানের মদদ পাওয়া ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী।
এর আগে ইরানের রেভ্যুলুশনারি গার্ডের প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালমি সতর্ক করে বলেন, যেকোন হামলা মোকাবিলার জন্য তারা প্রস্তুত আছেন। সীমিত হামলা হলে সেটি সীমিত আকারে থাকবে না।
‘হামলাকারীদের সম্পূর্ণ ধ্বংস না করা পর্যন্ত আমরা চালিয়ে যাব,’ সতর্ক করেন তিনি।