জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে থাইল্যান্ডে আসা মিয়ানমারের শরণার্থীদের সুস্থতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে।
সরকারি সূত্র অনুসারে, আশ্রয় ও সুরক্ষার জন্য দক্ষিণ-পূর্ব মিয়ানমারের কাইন এবং কায়াহ রাজ্যের সাড়ে ৯ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে থাইল্যান্ডের তাক এবং মে হং সন প্রদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
যদিও সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিকেরা মিয়ানমারে ফিরে এসেছে, তবুও এখনও কমপক্ষে এক হাজার শরণার্থী থাইল্যান্ডের মায়ে সোটে নামক স্থানে রয়ে গেছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা বলেছে, স্থানীয় সম্প্রদায়ের মাধ্যমে থাই সরকার যে সহায়তা দিয়েছে, তা শরণার্থীদের জন্য টেকসই বা পর্যাপ্ত নাও হতে পারে।
সংস্থাটি বলেছে, মিয়ানমারে পরিস্থিতি খুবই অনিশ্চিত ও অস্থিতিশীল।
আরও পড়ুন: শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী, সুনামির আশঙ্কা নেই
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা বলেছে, মিয়ানমারে অব্যাহত সংঘাত চলতে থাকায় দেশটির নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন।
সংস্থাটি থাই সরকারকে তাক প্রদেশের ‘মায়ে সোটে’তে ‘অস্থায়ী নিরাপত্তা এলাকায়’ আশ্রয় দেয়া শরণার্থীদের অন্য জায়গায় স্থানান্তর করার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, তাদের এমন কোথাও স্থানান্তরিত করা হোক, অস্থায়ী হলেও যেখানে তারা নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণভাবে থাকতে পারে এবং উন্নত মানবিক সহায়তা পেতে পারে।
ইউএনএইচসিআর থাইল্যান্ডে নতুন আসা শরণার্থীদের মানবিক প্রয়োজনে সাড়া দেয়ার জন্য থাই কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে।
আরও পড়ুন: ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট ডেভিড সাসোলি আর নেই