দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারির পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন পদত্যাগ করেছেন। তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োল।
কিমের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে সৌদি আরবে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত চোই বিয়ুং-হিউককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টি কিমকে অভিশংসনের প্রস্তাব উত্থাপনের পরপরই বুধবার পদত্যাগ করেন তিনি। ইয়ুনের পিপলস পাওয়ার পার্টির নেতারাও সামরিক আইন জারির পরামর্শ দেওয়ার জন্য তার অপসারণেরও দাবি জানিয়েছেন।
এমতাবস্থায় দায় স্বীকার করে কিম বলেন, সামরিক আইন সম্পর্কিত সমস্ত পদক্ষেপ তার কর্তৃত্বের অধীনে পরিচালিত হয়েছিল। জনসাধারণের ‘উদ্বেগ ও বিভ্রান্তি’র জন্য ক্ষমাও চান তিনি।
আরও পড়ুন: বন্যায় মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে ৩০ জনের মৃত্যু, বাস্তুচ্যুত সহস্রাধিক
সামরিক আইনের ডিক্রি জারি এবং পরে প্রত্যাহারের পর পদত্যাগের জন্য ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইয়ুন। এরই মধ্যে ছয়টি বিরোধী দল তাকে অভিশংসনের প্রস্তাব উত্থাপন করেছে। শুক্রবার বা শনিবার মধ্যরাতের মধ্যে এ বিষয়ে সংসদে ভোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও ইউনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি।
মঙ্গলবার গভীর রাতে আকস্মিক ভাষণে সামরিক আইন জারির মাধ্যমে বিরোধীদের বিরুদ্ধে উত্তর কোরিয়াকে সমর্থন এবং রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। এমনকি তাদের কৌঁসুলিদের অভিশংসন এবং একটি সরকারি বরাদ্দ প্রস্তাব আটকে দেওয়ার চেষ্টা করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে ৩০০ আসনের সংসদের ১৯০ ভোটে আইনপ্রণেতারা দ্রুত আদেশটি বাতিল করে দেন। ফলে ইয়ুন আদেশ প্রত্যাহার করে বুধবার ভোরেই মোতায়েন করা সেনাদের ব্যারাকে ফিরিয়ে নেন।
সূত্র: সিএনএন