ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রবিবার শপথ গ্রহণ করেছেন নাফতালি বেনেট। বেনেটের মাধ্যমে দীর্ঘ ১২ বছর শাসন করার পর ক্ষমতা হারালেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
ডানপন্থী জাতীয়তাবাদী জামিনা পার্টির নাফতালি বেনেট জোট গঠনের শর্ত হিসেবে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট দুই বছরের মধ্যে চারটি নির্বাচনের মাধ্যমে বিভক্ত দেশকে একত্রিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলে নতুন সরকার: অবশেষে নেতানিয়াহু যুগের অবসান
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটকে স্বাগত জানিয়েছেন।
বেনেটের উদ্দেশে বাইডেন বলেন, ‘আমি আমাদের দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও স্থায়ী সম্পর্কের সমস্ত দিককে শক্তিশালী করতে প্রধানমন্ত্রী বেনেটের সঙ্গে কাজ করার প্রত্যাশায় রয়েছি।’
আরও পড়ুন: হামাসকে কঠোর হুশিয়ারি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর
তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ভালো বন্ধু ইসরায়েলের নেই।’
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন যথাক্রমে ইসরায়েলের নতুন সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।
বেনেটের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রসঙ্গে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের এক মুখপাত্র বলেন ‘এটি ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমাদের অবস্থান বরাবরই পরিষ্কার, আমরা যা চাই তা হলো- ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র, যার রাজধানী হবে জেরুজালেম।
আরও পড়ুন: গোপনে সৌদি সফর করলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু
বেনেট একসময় নেতানিয়াহুর খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ২০০৬ সাল থেকে দুই বছর তিনি নেতানিয়াহুর চিফ অব স্টাফ হিসেবে কাজ করেছেন। ২০০৮ সালে অবশ্য তার সাথে নেতানিয়াহুর মনোমালিন্য তৈরি হয় এবং লিকুদ পার্টি থেকে বেরিয়ে তিনি কট্টর ইহুদি দল 'জিউয়িশ হোম' পার্টিতে যোগ দেন এবং ২০১৩ সালে প্রথম এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন।
পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণের কট্টর সমর্থক বেনেট। এক সময় তিনি ইহুদি বসতি-স্থাপনকারীদের সংগঠন ইয়েশা কাউন্সিলের প্রধান ছিলেন। তাকে মানুষ চেনে ‘বসতি-স্থাপনকারীদের নেতা’ হিসেবে।