অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ভয়াবহ বন্যাকে বিশ্বের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব হিসেবে স্বীকার করে, বন্যা প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আরও বাঁধ নির্মাণের আহ্বান জানিয়েছেন।
তবে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব নিরসনে শুধুমাত্র গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসের দিকে মনোনিবেশ করার পরিবর্তে, ভবিষ্যতে বন্যা ও অগ্নিকাণ্ডের প্রভাব প্রশমিত করার জন্য আরও কিছু করা দরকার।
কুইন্সল্যান্ড এবং নিউ সাউথ ওয়েলসের কিছু অংশে কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিপাতে ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে শুরু হওয়া বন্যায় কমপক্ষে ২০ জন মারা গেছে এবং হাজার হাজার বাড়ি-ঘর ধ্বংস হয়েছে।
রবিবার তিনি নাইন নেটওয়ার্ক টেলিভিশনকে বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনকে মোকাবিলা করা মানে শুধুমাত্র কার্বণ নির্গমন হ্রাস করা নয়। এর সঙ্গে স্থিতিস্থাপকতা ও অভিযোজনও নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার দুই রাজ্যে রেকর্ড করোনা শনাক্ত
তিনি বলেন, আপনি বুশফায়ারে স্থিতিস্থাপকতা মোকাবিলা করতে চাইলে আপনাকে জ্বালানি লোড ব্যবস্থাপনা করতে হবে। আপনি বন্যা মোকাবিলা করতে চাইলে আপনাকে বাঁধ নির্মাণ করতে হবে।
বন্যাকবলিত অঞ্চলে দ্রুত অস্ট্রেলিয়ান প্রতিরক্ষা বাহিনীসহ অন্যান্য সহযোগিতা সংস্থাগুলোর সহায়তা পৌঁছাতে বিলম্ব হওয়ায় দেশটির ফেডারেল সরকার সমালোচিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কুইন্সল্যান্ডের প্রিমিয়ার আনাস্তাসিয়া প্যালাসজুক ফেডারেল সহায়তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন,অনেক দেরিতে এই সহায়তা পৌঁছেছে এবং তার প্রস্তাবিত ২০টি বন্যা প্রশমন ব্যবস্থার মধ্যে ২০২০ সালের নভেম্বর মাস থেকে মাত্র তিনটিতে অর্থায়নের জন্য মরিসনের সমালোচনা করেছেন।
জবাবে মরিসন বলেন, ফেডারেল সরকার যত দ্রুত সম্ভব সহায়তা পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় ওমিক্রনে প্রথম রোগীর মৃত্যু
'জনসন অ্যান্ড জনসন'-র করোনাভাইরাসের টিকা কিনবে না অস্ট্রেলিয়া