তবে মিশিগানে নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দিতে সেখানকার আইনপ্রণেতাদের প্রতি ট্রাম্পের আবেদন বিফলে গেছে।
মিশিগানে বাইডেনের এক লাখ ৫৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে পাওয়া জয় সরিয়ে রাজ্যটির ইলেক্ট্রোরাল ভোটের দখল নিতে ট্রাম্প সেখানকার বিচারক ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্ররোচিত করার চেষ্টা হিসেবে শুক্রবার রাজ্য সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের প্রধান ও হাউজের স্পিকারসহ রিপাবলিকান নেতাদের একটি প্রতিনিধিদলকে ডেকে আনেন।
ট্রাম্প ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেয়ার যে নিরর্থক প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তা গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের দীর্ঘ মেয়াদি ক্ষতি করতে পারে বলে সমালোচনা বৃদ্ধির মাঝেই তিনি নতুন এ চেষ্টা চালালেন।
বাইডেনের ভালো করা অন্যান্য রাজ্যেও হানা দিচ্ছেন ট্রাম্প। ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট হয়ে তিনি মূলত ক্ষমতা ধরে রাখতে বা ব্যর্থ হলেও নিজের সমর্থকদের চোখে বিরোধীদের জয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এ অস্বাভাবিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
নির্বাচনী আইন বিশেষজ্ঞ রিক হাসেন মিশিগান নিয়ে ট্রাম্পের পদক্ষেপকে অভ্যুত্থান চেষ্টার সমান হিসেবে বর্ণনা করে বলেছেন, মিশিগানের ভোটকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হলে রাস্তায় দাঙ্গা বেঁধে যাবে।
‘আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। কারণ এটি গভীরভাবে গণতন্ত্রবিরোধী এবং এটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে পাওয়া জো বাইডেনের বিজয়কে অবৈধকরণ করছে। এটি গভীরভাবে হতাশার যে আমাদের বিষয়টি নিয়ে এখনও কথা বলতে হবে। তবে প্রেসিডেন্টের জন্য কোনো ভিন্ন ফলাফল পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম,’ নিজের ব্লগে লিখেন হাসেন।
হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের সাথে বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে মিশিগান সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের প্রধান মাইক শার্কি এবং হাউজের স্পিকার লি চ্যাটফিল্ড জানান, নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তদন্ত হওয়া দরকার।
তবে তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ট্রাম্পের দাবি সম্পর্কে তারা এখনও কোনো ব্যবস্থা নেননি। ‘আমরা এখনও এমন কোনো তথ্য পাইনি যাতে মিশিগানের নির্বাচনের ফল পরিবর্তিত হতে পারে...যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি ভোট জয় করেন তিনি নির্বাচন ও মিশিগানের ইলেক্ট্রোরাল ভোটের বিজয়ী হন।’
ট্রাম্প শুক্রবার হোয়াইট হাউজে আরেক অনুষ্ঠানে পুনরায় দাবি করেন যে তিনি নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন এবং কীভাবে সেটি বাস্তবায়ন করা যায় তা খুঁজে বের করবেন।