কোভিড-১৯ হানার প্রভাবে দীর্ঘ ৯ মাসের পরিক্রমায় এরই মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতি ধুঁকতে শুরু করেছে।
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএইচইউ) তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ৩ কোটি ৩২ লাখ ৮২ হাজার ৯৬৯ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১০ লাখ ৮৬৭ জনে।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৭১ লাখ ৪৮ হাজারের বেশি করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২ লাখ ৫ হাজার ৬৯ জনে।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে করোনা রোগীর সংখ্যা ৬০ লাখ ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৯৫ হাজার ৫৪২ জন।
ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ লাখ ৪৫ হাজার ৪৬৪ জন এবং মারা গেছেন এক লাখ ৪২ হাজারেরও বেশি মানুষ।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
এদিকে, মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ হাজার ১৯৩ জনে দাঁড়িয়েছে বলে সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত স্বাস্থ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এছাড়া, নতুন করে ১ হাজার ৪০৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৫৫৫ জনে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনা শনাক্তের জন্য দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১০৬টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১১ হাজার ২৮৪টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে আগের নমুনাসহ ১১ হাজার ৯২২টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১৯ লাখ ২১ হাজার ৩৮২টি।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১.৮০ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৮.৭৭ শতাংশ।
নতুন যে ৩২ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২২ এবং নারী ১০ জন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ১৮ জন বা ৭৭.৩৭ শতাংশ এবং নারী ১ হাজার ১৭৫ জন বা ২২.৬৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১.৪৪ শতাংশ।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৫৮২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭২ হাজার ৭৩ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার এখন পর্যন্ত ৭৫.৪৬ শতাংশ।