সুপ্রিম কোর্ট বেঞ্চের বিচারপতিরা সর্বসম্মতভাবে পার্লামেন্ট স্থগিত রাখার আদেশকে ‘অকার্যকর ও প্রভাবহীন বলে’ রায় দেন।
সুপ্রিম কোর্টের প্রেসিডেন্ট ব্রেনডা হেল বলেন, এ স্থগিতাদেশ ছিল বেআইনি। কারণ এতে ছিল বিফলতার প্রভাব বা যৌক্তিক কারণ ছাড়াই পার্লামেন্টকে তার সাংবিধানিক কাজ করা থেকে বিরত রাখা।
তিনি বলেন, আদালতের সিদ্ধান্তের মানে হচ্ছে পার্লামেন্টকে কখনো বৈধভাবে স্থগিত করা হয়নি এবং এটি সঠিক অর্থে এখনো চলমান আছে।
১১ বিচারপতির বেঞ্চে তিন দিন শুনানির পর এ রায় দেয়া হলো।
ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ, অর্থাৎ ব্রেক্সিট কার্যকরের শেষ সময় ৩১ অক্টোবরের আগে এমন গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে পার্লামেন্ট পাঁচ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করতে বরিস জনসন রানিকে উপদেশ দেয়ার সময় আইন অনুসরণ করেছিলেন কি না তা নিয়ে আলোচনা চলছিল।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে থাকা জনসন আইন লঙ্ঘনকারী হিসেবে প্রমাণিত হলে পদত্যাগ করবেন কি না বা পার্লামেন্ট পুনরায় বন্ধ করে দিতে চাইবেন কি না সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
পার্লামেন্ট ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তটি নিয়মিত বিষয় এবং এর সাথে ব্রেক্সিটের কোনো সম্পর্ক নেই বলে সরকারের পক্ষ থেকে যে দাবি করা হয়েছিল তা খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
সরকারবিরোধীরা বলেছেন, ব্রেক্সিট বিষয়ে জনসনের পরিকল্পনা নিয়ে আইনপ্রণেতাদের বিচার-বিশ্লেষণ ফাঁকি দেয়ার জন্য তিনি বেআইনিভাবে পার্লামেন্ট বন্ধ করে দিয়েছেন। তাদের আরও অভিযোগ, পার্লামেন্ট স্থগিত করতে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেয়া রানিকে বিভ্রান্তি করেছেন জনসন।